তালেবান থেকে বাঁচতে দেশ ত্যাগে মরিয়া জনসাধারণ, নিহত ৫

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২১, ১৮:০৯

সাহস ডেস্ক

আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকাসহ দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর দুটি দখলে নেয়ার পর দেশটির রাজধানী কাবুলও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বিদ্রোহীগোষ্ঠী তালেবান। দেশটির রাজধানী কাবুল দখলের পর যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে বিদ্রোহীগোষ্ঠীটি। তবে দখলের পর থেকেই নিজের প্রিয় জন্মভূমি ছেড়ে যেকোনো উপায়ে চলে যাচ্ছে সাধারণ জনগণ। রাজধানীর কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় পড়েছে হাজার হাজার আফগান জনসাধারণের। একাধিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী বিমানবন্দরে এখন পর্যন্ত পাঁচ জন নিহত হয়েছে।

রাজধানী কাবুল বিমানবন্দরের টারমাকে দাঁড়িয়ে আছে একটি বিমান। বিমানটিতে উঠতে জটলা পাকাচ্ছে শত শত আফগানী। সবাই বিমানে উঠতে মরিয়া। বিমানটিতে ওঠার সিঁড়িতে চলছে হুড়োহুড়ি। আগে উঠা নিয়ে চলছে ধাক্কাধাক্কি। অনেকে আবার সিঁড়ির রেলিংয়ে ঝুলেই উঠার চেষ্টা করছে। এমনই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে। তবে এসময়ে গোলাগুলি শব্দ শোনা গিয়েছে। সেখানে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তালেবান বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাত্রী টার্মিনালের কাছে মার্কিন বাহিনীর গুলিতে তিন জন প্রাণ হারিয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ছড়িয়ে পড়েছে।

এই ভিডিওটির বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে জানানো হয়, তালেবান কাবুল দখলের পর থেকেই জনস্রোত দেখা গেছে কাবুল বিমানবন্দরে। দেশ ছাড়তে যেকোনো উপায়ে একটি বিমানে উঠতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন শহরের বাসিন্দারা। লোকজনের চাপ সামলাতে সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মার্কিন সেনারা আজ ফাঁকা গুলি চালিয়েছে। খবর- বার্তা সংস্থা এএফপির।

গতকাল রবিবার রাজধানী কাবুল দখলের পর থেকে এই বিমানবন্দর দিয়েই মার্কিন কূটনীতিকসহ বিদেশি ও আফগান নাগরিকরা সীমান্ত ক্রসিং এবং কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জড়ো হতে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

রবিবারই মার্কিন সেনাদের দূতাবাস থেকে বিমানবন্দরে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে অবস্থান করছে আফগানিস্তানের মার্কিন দূতাবাসের কর্মীরা।

এদিকে যারা আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে চান, তাদের বাধা না দিতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬৫টি দেশ। দেশত্যাগে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা কোনো হয়রানির শিকার হলে এর দায় তালেবানকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছে দেশগুলো।

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকাসহ দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর দুটি দখলে নেয়ার পর দেশটির রাজধানী কাবুলও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে উগ্রপন্থী বাহিনী তালেবান। দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও তালেবানের দখলে চলে গেলো শহরটি। এ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছে শহরটির বাসিন্দারা। তালেবানের উপস্থিতি কাবুলবাসীর জন্য যে মোটেও সুখকর নয়, তা বিশ্লেষণেই বোঝা যায়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত