মিয়ানমারে বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত বেড়ে ১০

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:১৩

সাহস ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিনে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকার অং সান সু চিকে আটক করে ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই বিক্ষোভ ও দমন–পীড়ন চলছে দেশটিতে। কারাবন্দী অং সান সু চির মুক্তি এবং সেনাশাসনের অবসানের দাবিতে আজ দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভে অংশ নিতে রাস্তায় নেমে আসেন হাজারো লোক। এই বিক্ষোভকারীদের দমনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরো ২০ জনের বেশি। এক দিনে এত প্রাণহানির ঘটনা এর আগে ঘটেনি বলে জানিয়েছে এএফপি।

রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের দমনে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

রবিবার মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুন, দক্ষিণাঞ্চলের শহর দাওয়ে এবং উত্তরাঞ্চলের শহর মন্দলয়ে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে তাজা গুলি, রাবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০। তারপরও সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে মিয়ানমারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, একটি বাস স্টেশনে আশ্রয় নেয়া বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছুড়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় একজন নিহত এবং আরও একজন আহত হয়েছেন। খবর-ফ্রন্টিয়ার ম্যাগাজিন

দক্ষিণাঞ্চলীয় দাওয়েই এলাকার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেখানে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছুড়লে একজন নিহত এবং আরও ডজনখানেক আহত হয়েছে। কিয়াও মিন হাইক নামের এক রাজনীতিবিদ রয়টার্সকে ওই বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা কিছু দৃশ্যে দেখা যায়, ইয়াঙ্গুনের রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ছেন। আর উত্তরে মান্দালয় শহরে জলকামান ব্যবহার করছেন তারা।

অং সান সু চিকে সরিয়ে সেনাবাহিনী সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর পরই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশটি। সেনাবাহিনীর চোখ রাঙানি এবং পুলিশের দমনপীড়ন উপেক্ষা করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন মিয়ানমারের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

তবে রাজপথে এই বিক্ষোভের পাশাপাশি মিয়ানমারে অসহযোগের ডাক দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। অসহযোগের প্রতি সমর্থন দিন দিন জোরালো হচ্ছে। প্রথমে অসহযোগ শুরু করেন চিকিৎসকেরা। পরে শিক্ষকসহ অন্য পেশাজীবী ও সরকারি কর্মচারীরা এতে যোগ দিচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত