সাউদাম্পটনের জালে ম্যানইউর ৯ গোল

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:২৯

সাহস ডেস্ক

কয়েক দিন আগেই লিভারপুল-আর্সেনালকে হারিয়েছে সাউদাম্পটন, চেলসির সঙ্গে ড্রও করেছে। অথচ গত রাতে এই সাউদাম্পটনকে গুনে গুনে ৯টি গোল দিল চলতি মৌসুমে ঝড়ের গতিতে খেলা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে সাউদাম্পটনকে ৯-০ গোলে হারিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়তে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। গত মৌসুমেও লেস্টার সিটির বিপক্ষে ৯-০ গোলে হেরেছিল সাউদাম্পটন। তবে ইংলিশ লিগের সবচেয়ে বড় জয়ের তালিকায় এখন এই জয়টা যৌথভাবে শীর্ষে থাকবে।

১৯৯৫ সালে ইপসউইচ টাউনের বিপক্ষে একই ব্যবধানে লিগ ম্যাচে জিতেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রায় ২৬ বছর পর ওই অনুভূতি আবারও যেন ফিরে পেয়েছিল ইউনাইটেড শিবিরে। অর্থাৎ ইংলিশ লিগে সবচেয়ে বাজে তিনটি পরাজয়ের দুটিতেই এখন পরাজিত দলের জায়গায় লেখা থাকবে সাউদাম্পটনের নাম।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) ওল্ড ট্রাফোর্ডে রালফ হাসনহাটলের শিষ্যদের ৯-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ওলে গানার সুলসারের শিষ্যরা।

এদিন ম্যাচ শুরুর দ্বিতীয় মিনিটেই ম্যানইউর স্কটিশ মিডফিল্ডার স্কট ম্যাকটমিনেকে বাজেভাবে ফাউল করে বসেন সাউদাম্পটনের সুইস মিডফিল্ডার আলেকসান্দ্রে জাঙ্কেউইজ। পরে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান তিনি, ফলে প্রায় প্রথম থেকেই একজন কম নিয়ে খেলা শুরু করে সাউদাম্পটন। আর এতেই বোঝাগিয়েছিল সাউদাম্পটনের কপালে দুর্ভোগ আছে। পরে ম্যাচের ৮৬ মিনিটেও ফরাসি স্ট্রাইকার অ্যান্থনি মার্সিয়ালকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জান বেদনারেক। শেষে ৯ জনের দল হয়ে পড়ে সাউদাম্পটন।

এদিন শুরু থেকে ১০ জনের দল পেয়ে সুযোগটা ভালোভাবে কাজে লাগাতে শুরু করে ম্যানইউ। ম্যাচের ১৮ মিনিটেই তার সুফল পেয়ে যায়। ইংলিশ লেফটব্যাক লুক শ এর ক্রসে গোল করেন ইংলিশ রাইটব্যাক অ্যারন ওয়ান-বিসাকা। পরে ম্যাচের ২৫ মিনিটে মেসন গ্রিনউডের ক্রসে পা ঠেকিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইংলিশ উইঙ্গার মার্কাস রাশফোর্ড।

বিপদে থাকা সাউদাম্পটনকে আরো বিপদে ফেললেন পোলিশ সেন্টারব্যাক ইয়ান বেদনারেক। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের ক্রস সামলাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে বল ঢুকিয়ে দেন সাউদাম্পটনের এই সেন্টারব্যাক। পরে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ম্যানইউকে আরো এগিয়ে দেন কাভানি। লুক শ’র ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড এডিনসন কাভানি। পরে প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে এই ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

বিরতি থেকে ফিরে এসে আবারো গোলের ঝড় তোলে ম্যানইউ। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেসের সহায়তায় ম্যাচে নিজের গোলের খাতা খোলেন ফরাসি স্ট্রাইকার অ্যান্থনি মার্সিয়াল। তার ঠিক দুই মিনিট পর (৭১ মিনিট) দূরপাল্লার এক শটে ব্যবধান বাড়ান স্কট ম্যাকটমিনে। তখন ৬-০তে এগিয়ে ম্যানইউ।

পরে ম্যাচের ৮৬ মিনিটে মার্সিয়ালকে বক্সের মধ্যে অন্যায়ভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বেদনারেক। এতে পেনাল্টি পায় ম্যানইউ। ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ৭-০ ব্যবধান করেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। তার তিন মিনিট পরে অর্থাৎ ৯০ মিনিটে ওয়ান-বিসাকার ক্রসে আরেকটি গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়ে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন অ্যান্থনি মার্সিয়াল। এরপর অতিরিক্ত সময়ের শেষে অর্থাৎ ৯০+৩ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেসের পাসে গোল করে স্কোরলাইন ৯-০ করে ফেলেন ওয়েলশ উইঙ্গার ড্যানিয়েল জেমস। আর এতেই নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বড় জয়।

এই জয়ে ২২ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়তে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দুই ম্যাচ কম খেলে অর্থাৎ ২০ ম্যাচে সমান ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটি। ২১ ম্যাচ খেলে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়তে আছে গবতারের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। সমান ম্যাচ খেলে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে আছে লেস্টার সিটি। সমান ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৫মস্থানে আছে ওয়েস্ট হ্যাম। সমান ম্যাচ খেলে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে টবিলের ১২তম স্থানে আছে সাউদাম্পটন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত