ম্যানইউর কাছে হেরেও ফাইনালে ম্যানসিটি, আলোচনায় দর্শক

কারাবাও কাপ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হেরেও দুই ম্যাচ সমিকরণে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে গেছে স্বাগতিক ম্যানচেস্টার সিটি।

২৯ জানুয়ারি (বুধবার) সিটি অফ ম্যানচেস্টার স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। প্রথম লেগে ম্যানইউর মাঠে ৩-১ গোলে জিতেছিল ম্যানসিটি। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সিটিজেনরা। তবে এ ম্যাচে ফুটবল ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দুই দলের সমর্থকদের আচরণ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ম্যাচে সিটি সমর্থকেরা দু হাত ছড়িয়ে বিমানের অঙ্গভঙ্গি দেখিয়েছেন ইউনাইটেড সমর্থকদের প্রতি। ইউনাইটেড সমর্থকদের খোঁচাতেই এমন আচরণ।

১৯৫৮ সালে মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় গোটা দলই হারিয়েছিল ইউনাইটেড (মোট নিহতসংখ্যা ২৩)। অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে ব্যথাতুর সে স্মৃতি খুঁচিয়ে ইউনাইটেড সমর্থকদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে স্বাগতিক সমর্থকেরা। ইউনাইটেড সমর্থকেরাও কম যায়নি। ম্যাচ শেষে সিটি সমর্থকদের উদ্দেশে তারা চেয়ার ছুড়ে মেরেছে।

প্রথমার্ধে রহিম স্টার্লিং-রিয়াদ মাহরেজরা অনেক চেষ্টা করেও ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়াকে ফাঁকি দিতে পারেনি। উল্টো ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে ইউনাইটেডের প্রথম আক্রমণেই গোল করেন নেমানজা মাতিচ। নির্ধারিত সময়ের ১৪ মিনিট আগে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠও ছাড়তে হয়েছে তাঁকে।

ফাইনালে উঠলেও সিটি সমর্থকদের আচরণে খুশি হতে পারেননি কোচ পেপ গার্দিওলা। তিনি বলেন, ‘জানি না ঠিক কী ঘটেছে, তবে এটিও মোটেও ভালো খবর না।’

সিটির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানো হলেও সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনাটির তদন্ত করা হবে। এরপর ব্যবস্থা। ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’তে এর আগে এমন ঘটনা ঘটায় প্রতিপক্ষ সমর্থকদের জন্য আসনসংখ্যা অনেক কমানো হয়েছে।

সিটি কোচের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন ইউনাইটেড কোচ ওলে গুনার সুলশার। তিনি বলেন, ‘আমাকে পেপের পাশে দাঁড়াতে হবে। ফুটবল উপভোগ করা উচিত। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা চাই কিন্তু ভারসাম্য রাখা উচিত।’

আগামী ১ মার্চ (রবিবার) ওয়েম্বলিতে ফাইনালে  ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ অ্যাস্টন ভিলা।