করোনায় সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৮০৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৭ জন। একই সময়ে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৩০ জন। যা গত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭২০ জন।

সোমবার (২২ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের ২০ আগস্ট এক দিনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর আজকেই এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত হলেন। এর আগে এ বছরের ৭ জানুয়ারি করোনায় এক দিনে সর্বোচ্চ ৩১ জনের মৃত্যু হয়। এরপর আজকে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হলো।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৫৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ১৫৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩০ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ, পাঁচ জন নারী। এদের মধ্যে ২৯ জন হাসপাতালে মারা গেছেন, একজন বাড়িতে। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ২০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এক জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এক রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৫৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ দুই হাজার ৪১৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯২ হাজার ৩০৩ জন। এখন আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ১১৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২১৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৮টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৬ হাজার ১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ হাজার ১১১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার ২৩০টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৩৭ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।