ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাড়তে পারে মাদক

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২২, ১৪:৩৯

সাহস ডেস্ক

ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে অবৈধভাবে মাদক উৎপাদন বেড়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। একাধিক সিন্থেটিক মাদকের কারখানা নতুন করে খুলেছে বলেও মনে করছে সংস্থাটি। অতীতে এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যেও একই বিষয় দেখা গিয়েছিল বলে সোমবার (২৭ জুন) সতর্ক বার্তা দেয় সংস্থাটি।

জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম অফিস (ইউএনওডিসি) এর বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলো সিন্থেটিক মাদক তৈরির জন্য ‘চুম্বক’ হিসাবে কাজ করেছে। এটি যে কোনো জায়গায় বসে তৈরি করা যেতে পারে। যখন সংঘাতপূর্ণ এলাকা বড় ভোক্তা বাজারের কাছাকাছি থাকে তখন এই প্রভাব আরও বেশি হতে পারে।

সংস্থাটির বার্ষিক রিপোর্টে আরও বলা হয়, যুদ্ধের আগেই ইউক্রেনের মাদকের উৎপাদন চোখে পড়ার মতো ছিল। ২০১৯ সালে যেখানে বেআইনি সিন্থেটিক মাদক তৈরির  যেখানে ছিল ১৭ টি সেখানে ২০২০ সালে তা ৭৯ টিতে গিয়ে পৌঁছায়। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তা আরো বাড়ার শঙ্কা আছে বলে মনে করা হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়, যুদ্ধের সময় এধরনের কারখানা বাড়ে কারণ, ওই সময় পুলিশ গিয়ে কারখানায় তল্লাশি চালায় না। দুষ্কৃতীরা সেই সুযোগটিকে কাজে লাগায়। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সংঘাত মাদক পাচারের রুটগুলোকেও পরিবর্তন করতে পারে। ২০২২ সালের শুরুতে ইউক্রেনে মাদক পাচার কমেছে।

আফগানিস্তানের পরিস্থিতির দিকে তাকালে দেখা যায় ২০২১ সালে বিশ্বের আফিমের ৮৬ শতাংশ উৎপাদন হয় সেখানে। এপ্রিল মাসে তালেবান সরকার আফিম চাষ নিষিদ্ধ করার পরও দেশটির মানবিক সংকট অবৈধভাবে মাদক চাষকে উৎসাহিত করতে পারে।

ইউএনওডিসি রিপোর্টে বলা হয়, ২০২১ সালে আনুমানিক ২৮৪ মিলিয়ন অর্থাৎ ২৮ কোটি ৪০ লাখ মানুষ মাদক ব্যবহার করেছে। তারা বিশ্বব্যাপী প্রতি ১৮ জনের একজন এবং যাদের বয়স ১৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে। ২০১০ সালের পর ২৬ শতাংশ বেড়েছে মাদকের ব্যবহার। শুধু তাই নয় ২০২০ সালে কোকেন উৎপাদন হয় এক হাজার ৯শ ৮২ টন। ইউএনওডিসি রিপোর্টটি সদস্য রাষ্ট্র থেকে সংগৃহীত তথ্য, নিজস্ব সূত্র এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন সোর্সের উপাদান বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।

সাহস২৪.কম/টিএ/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত