কাবুলে প্রবেশ করেছে তালেবান, গোলাগুলির শব্দ

আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা আগেই দখল করে নিয়েছে উগ্রপন্থী সংগঠন তালেবান। আফগানদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর দুটিও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে উগ্রপন্থীরা। বাকী ছিল শুধু রাজধানী কাবুল। এই কাবুল দখল করতে আজ চারদিক থেকে প্রবেশ করছে বাহিনীটির যোদ্ধারা। রবিবার (১৫ আগস্ট) আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থানকারী তালেবানের এক নেতার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, রাজধানী শহরটিতে যোদ্ধাদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে বলেছে তালেবান। কেউ শহরটি ত্যাগ করতে চাইলে, তাদের এ সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাহিনীটি। এ ছাড়া নারীদের নিরাপদে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কাবুলে তালেবানের প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদক ইয়ালদা হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, তালেবান যোদ্ধাদের কাবুলে তেমন কোনো প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে না।

এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়লেও তা আফগান সরকার বিষয়টি স্বীকার করছে না। কাবুল শহরটির এখনো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে দাবি করছেন আফগান সরকার। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে আফগান প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, কাবুলে বিচ্ছিন্ন কিছু গোলাগুলি হয়েছে। তবে আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তালেবান চতুর্দিক থেকে কাবুলে ঢোকা শুরু করেছে। তালেবানের কয়েকটি সূত্রও দাবি করেছে, তাদের বাহিনী রাজধানীতে প্রবেশ করেছে। তালেবানের এক যোদ্ধা জানিয়েছেন, জ্যেষ্ঠ নেতারা আমাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কাবুলে আমরা শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছি। খবর- আল জাজিরার।

তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জোর করে রাজধানী কাবুল দখলের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। উগ্রপন্থী এই সংগঠনটির এক নেতা জানিয়েছেন, যারা আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের নিরাপদে যেতে দিতে যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছে তালেবান। খবর- রয়টার্সের।

আফগানিস্তানের নিরাপত্তাকর্মী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন।

এর আগে আজ সকালে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর জালালাবাদের দখল নেয় তালেবান। কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই তালেবান শহরটির দখল নিতে সক্ষম হয়। জালালাবাদ দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে অন্তত ২০টির রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ এখন তালেবানের হাতে।