আউট হয়ে সাজঘরের দরজায় লাথি মারলেন মাহমুদউল্লাহ

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২২, ১৭:২৯

সাহস ডেস্ক

প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝে একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই খেলছিলেন আস্থার সঙ্গে। সতীর্থরা যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন, তখন একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার পায়তারায় ছিলেন তিনি। ফিফটিরও সুবাস পেয়ে যান। কিন্তু ফিফটির সুবাস পাওয়ার পরই আউট হন তিনি। ফেরার সময় সাজঘরের দরজায় লাথি মারে আলোচানর জন্ম দিলেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

শনিবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আসা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন মোহামেডানের দল। শেষ পর্যন্ত তারা গুটিয়ে যায় ১৪৩ রানে। তাদের শেষ ৫ উইকেটের পতন ঘটে মাত্র ৪ রানে!

মোহামেডানের ইনিংসের ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে স্ট্রাইকে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র ফেলেছিলেন ভালো লেংথে। তবে ক্রিজে পড়ার পর আস্বাভাবিকভাবে নিচু হয়ে যায় বলটি। কাট করার চেষ্টায় ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহ। তার ব্যাট ছুঁয়ে বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষক জাকির হাসানের গ্লাভসে। শেষ হয় মাহমুদউল্লাহর লড়াই। ৫২ বলে সমান দুটি করে চার ও ছক্কায় তিনি আউট হয়ে যান ৪৮ রান করে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সাজঘরে ফেরার পথে হতাশায় ডুবেন মাহমুদউল্লাহ। আউট হওয়াটা কিছুতেই যেন মানতে পারছিলেন না তিনি। এক পর্যায়ে মেজাজও হারিয়ে ফেলেন। পরে সাজঘরে ঢোকার আগে দরজায় সজোরে লাথি মেরে বসেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই তারকা!

মাহমুদউল্লাহর এমন কাণ্ডে মাঠে উপস্থিত অনেকেই বিস্মিত হয়ে পড়েন। সাজঘরের দরজায় লাথি মারা ক্রিকেটীয় আচরণের পরিপন্থী হওয়ায় তাকে ম্যাচ রেফারির তলব করার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। জুটতে পারে শাস্তিও।

তিনে নামা মাহমুদউল্লাহ যখন সাত নম্বর ব্যাটার হিসেবে মাঠ ছাড়েন, তখন মোহামেডানের সংগ্রহ ছিল ১৩৯ রান। 

এদিকে মোহামেডানকে গুঁড়িয়ে দিতে মুখ্য ভূমিকা রাখেন রূপগঞ্জ টাইগার্সের এনামুল জুনিয়র। তিনি ৪১ রান খরচ করে উইকেট নিয়েছেন ৫টি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন তরুণ পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেনে তিনি। একটি করে উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ ও মোহাম্মদ শরিফউল্লাহ। বাকিটি রানআউট।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত