তৃতীয় বাংলাদেশ ইয়ুথ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম সমাপ্ত

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩, ১৫:৩৪

সাহস-প্রযুক্তির খবর ডেস্ক

নারী ও শিশু আইজিএফসহ মোট ৮টি সেশন ও কর্মশালার মধ্য দিয়ে শেষ হলো তিন দিনের ইথ আইজিএফ। ৭০ জন দক্ষ ও অভিজ্ঞ স্পিকারসহ, ৪০০ জন উৎসাহী অংশগ্রহণকারী এই সেশনগুলোতে অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে ছিলো ইয়ুথদের জন্য সেশন, নারীদেরে জন্য সেশন এবং শিশুদের জন্য আলাদা আলাদা সেশন। মোট ৮টি আকর্ষণীয় সেশন এবং একটি কর্মশালায় ইয়ুথ আইজিএফ এর মাধ্যমে যুবদের কণ্ঠস্বর জোরালোকরণের জন্য এবং নীতিনির্ধারকদের সাথে আলোচনার এক গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।

তিন দিনের সম্মেলনে সবার জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার মাধ্যমে আগামীর জন্য সমান্তরাল পৃথিবী গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা। শহর-গ্রামের ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে ডিভাইসে নারী-পুরুষ এবং শিশুদের সমান অংশীদারীত্বের মাধ্যমে ইন্টারনেটের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয় সম্মেলন থেকে। 

বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামে মহাসচিব মোহাম্মাদ আব্দুল হক অনু উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিএসআইআর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইদ্রিস আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী আলম আরা মিনু। 
  
এর আগে সকালে ইন্টারনেট দুনিয়ায় যুব ও যুব নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে সমাপনী ও ৭ম সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উইমেন আইজিএফ মহাসচিব ফারহা মাহমুদ তৃণা।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত সবাইকে স্বাগত জানান এবং উইমেন আইজিএফ-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন উইমেন আইজিএফ-এর যুগ্ম মহাসচিব এর মিস শারমীন ইসরাইল। 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পরিসংখ্যানের তুলনা করে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টি রুমানা হক রিতা বলেছেন, ২৮৬ বছর পিছিয়ে গেছি। থেমে যাবো না। দ্রুত এগুতে ইন্টারনেট সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। এই মাধ্যমে আমরা পিছিয়ে নেই। তবে ফেসবুকিং, ইনস্টাগ্রাম নয় ইফেক্টিভ ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে।    

অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে আইজিএফ দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক অমৃতা চৌধুরী বলেছেন, কোভিডে লিঙ্গ বৈষম্য বেড়েছে। ক্রসকাটিং টেকনলোজিতে নারীদের ইন্টারনেট ব্যবহারে সমতা না হলে নারী-পুরুষ বৈষম্য বাড়বে। আবার ইন্টারনেটে নারীরা বেশি সহিংসতার শিকার হন। তারপরও কানেক্টিভিটির বিকল্প নেই। এই সুবিধা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ এসডিজি ৫ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সক্ষম হবে। 

চ্যাটজিপিটি’র মতো অ্যালগরিদমও নারী বিরুদ্ধে সহিংসতায় ব্যবহৃত হতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি। এজন্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আইজিএফ-এ বাংলাদেশের নারীদের যুক্ত থেকে সোচ্চার আহ্বান জানান অমৃতা। 

উন্নয়ন কর্মকর্তা কাকলী চক্রবর্তী পরিবার ও স্কুলকে ইন্টারনেট গভর্নমেন্সের অন্তর্ভুক্ত করার ওপর জোর দেন। একইসঙ্গে সরকারি কর্মকর্তারা যেখানে নিজেরা কম্পিউটার ব্যবহার করেন না সেখানে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি। 

ডিসিশান মেকিং-এ নারীরা এলেও তাদের সিদ্ধান্ত কতটা গ্রহণ করা হয় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন চ্যানেল আই নিউজ এডিটর ড. শাকিলা জেসমিন। 


চ্যানেল ২৪  সিএনই শাহনাজ মুন্নী বলেন, শহরে ইন্টারনেটে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। যে কোনো তথ্য আমারা সহজেই বাড়ছে। সাইবার দুনিয়ায় নারী বেশি ঝুঁকিতে। তাই সাইবার লিটারেসি বাড়াতে হবে। 

বাংলাদেশ উইমেন আইজিআইএফ চেয়ারপার্সন শামীমা আক্তার নারী-পুরুষ একসঙ্গে সাইবার দুনিয়ায় ভ্রাতৃত্বে পরিবেশে এগিয়ে যাওয়া ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সেশনটি সঞ্চালনা করেন তাসমী চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব উইমেন ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম।

(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত