বরিশাল বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত, মৃত্যু ৩

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২১, ১৮:৩৪

সাহস ডেস্ক

বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ৩৪৩ জন। এ নিয়ে বিভাগটিতে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৩৭ জনে। একই সময়ে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৫ জনে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৬০ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ১৫ হাজার ১৮১ জন।

আজ রবিবার এ তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে নতুন করে ৭২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৪৩ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪৭.১২ শতাংশ।

ডা. বাসুদেব আরও জানান, একই সময়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে দুই জন এবং ঝালকাঠি জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৩ জনের মৃত্যু হলো।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২১৫ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ৫৪৩ জনের মধ্যে ১১ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।

শেবাচিম পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৮ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে বর্তমানে ২১০ জন চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ৪৫ জন করোনা পজিটিভ এবং ১৬৫ জন আইসোলেশনে আছেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বরিশালে করোনার রোগীদের জন্য ৫ শতাধিক বেড থাকলেও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ২২টি আইসিইউ শয্যা আছে। এছাড়া শেবাচিমের সাধারণ আইসিইউ ওয়ার্ডে আরও ১০টির মতো বেড আছে।

এছাড়া ভোলা সদর হাসপাতালে তিনটি এবং পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে করোনার সময়ে পাঁচটি আইসিইউ বেড স্থাপন করা হয়েছে। তবে, রোগীর চাপ বাড়লে সময় ও ক্ষেত্র বিশেষে এগুলোও অপ্রতুল হয়ে দাঁড়ায়।

এছাড়া, বরিশাল ও ভোলায় দুটি আরটি-পিসিআর ল্যাব থাকলেও তার ধারণ ক্ষমতার বেশি নমুনা সংগ্রহ হওয়ায় প্রতিদিন পরীক্ষার জন্য দেড় থেকে তিন শতাধিক নমুনা ঢাকায় পাঠাতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ফলাফল এবং চিকিৎসা পেতেও দেরি হচ্ছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৪৭টি। ৬টি জেলা সদর হাসপাতাল ও ৪২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু, এসব হাসপাতালের ৩৯টিতে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা নেই।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, জেলার পটুয়াখালী বাদে সব জেলায় অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত