কোটি মানুষের শহরের বন্য প্রাণি বাদামি কাঠবিড়ালি

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:০৯

সাহস ডেস্ক
আলোকচিত্রঃ আবুল বাশার শিবলী, রামনাপার্ক, ঢাকা।

বন্যেরা বনে সুন্দর। আমাদের বনের অনেক সুন্দরই হারিয়ে গেছে আজ। তারপরও বাংলাদেশে প্রাপ্ত বন্যপ্রাণির মধ্যে সহজেই দেখা মেলে,বাদামি কাঠবিড়ালির। বাদামি বর্ণের মায়াবী ছোট্ট প্রাণীটি হলো এ দেশের সচরাচর দৃশ্যমান স্তন্যপায়ী প্রাণি চোরকাটা বা কোটা অন্য কথায় ইরাবতী কাঠবিড়ালি।

ইংরেজি নাম ইরাবতী স্কুইরেল (Irrawaddy squirrel) বা হোয়ারি-বেলিড হিমালয়ান স্কুইরেল। মিয়ানমারের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ইরাবতী নদীর নামে এর ইংরেজি নাম। সিউরিডি গোত্রের প্রাণিটির বৈজ্ঞানিক নাম Callosciurus pygerythrus। বাংলাদেশ ছাড়াও এটি ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও দক্ষিণ চীনের আবাসিক প্রাণি। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণির তালিকার তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

বাদামি কাঠবিড়ালির  দেহ লম্বা ও আকার মাঝারি। প্রাপ্তবয়স্ক প্রাণির দেহের দৈর্ঘ্য ২১ সেন্টিমিটার (সেমি) ও লেজ ১৮ সেমি। দেহের ওপরের অংশের লোমের রং গাঢ় বা লালচে-বাদামি থেকে ধূসরাভ-বাদামি। দেহের নিচটা ফ্যাকাশে ধূসর বা সাদাটে ধূসর। কোমরের কাছে সাদাটে পট্টি থাকতে পারে। লেজের আগা বাদামি।

সুন্দরবনসহ দেশের প্রায় সব ধরনের বনাঞ্চল, বাগান, পার্ক ও ঘন গাছপালা সন্নিবেশিত গ্রামাঞ্চল এলাকায় ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। দিবাচর প্রাণীগুলো মূলত বৃক্ষবাসী, তবে মাঝেমধ্যে মাটিতেও নামে। সচরাচর একাকী বা জোড়ায় দেখা যায়। ফল, পাতা, শাকসবজি, বাদাম, গাছের ছাল, ফুল, ফুলের রস ইত্যাদি খায়। খেজুরের রস খেতে খুব পছন্দ করে। এ ছাড়া গাছের গায়ে জন্মানো লাইকেন বা ছত্রাক, কীটপতঙ্গ ও অনেক সময় ছোটখাটো মেরুদণ্ডী প্রাণিও খেতে পারে।

এরা সচরাচর বছরে একবার বাচ্চা দেয়, মার্চ থেকে জুলাইয়ে। শুকনা ঘাস, পাতা ও ছোট ছোট কাঠি জড়ো করে গাছের মগডালে অগোছালো গোলগাল বাসা গড়ে। বাসার ভেতরে অন্দরমহল থাকে এবং ঢোকার রাস্তা থাকে এক পাশে। বছরে একবার তিন–চারটি বাচ্চা প্রসব করে।

সাহস২৪.কম/এবি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত