বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালা সংশোধনের কাজ প্রায় চূড়ান্ত

প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০২:৫২

সাহস ডেস্ক

২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধনের কাজ প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরবর্তী বৈঠকে সংশোধিত নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত হতে পারে।

মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) নীতিমালা সংশোধনের জন্য ষষ্ঠ বৈঠক শেষে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় এমপিও দেওয়ার ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামাঞ্চলে কাম্য শিক্ষার্থী, কাম্য ফলাফল, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে নূন্যতম যোগ্যতা, শিক্ষকদের প্রমোশন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়।

২০১৮ সালের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে চারটি শর্ত পূরণ করতে হতো। চারটি শর্তের মধ্যে ছিল—প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির বয়স, শিক্ষার্থী সংখ্যা, পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাসের হার।

বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণে যা কিছু প্রয়োজন সরকার তাই করে যাচ্ছে এবং করবে। এ কারণেই নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। নীতিমালায় যে অসঙ্গতি রয়েছে তা নিরসনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। এতে শিক্ষকদের চলমান সমস্যা সমাধান হবে।

রাজধানীসহ দেশের শহর ও মফস্বলে একই শর্ত প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু সংশোধিত নীতিমালায় শহর ও গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শর্তে এবার ভিন্নতা আনা হচ্ছে। মফস্বল এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে শর্ত শিথিল করা হয়েছে। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে নীতিমালা সংশোধন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আনা হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকে সংশোধিত নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত হতে পারে।

বিদ্যমান নীতিমালায় অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তির সুযোগ না থাকায় দীর্ঘ দিন চাকরি করেও তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হয়ে আসছেন। এ কারণে দীর্ঘ দিন ধরেই এমপিও নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা।

মন্ত্রণালয়ের জনতথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, এমপিও দেওয়ার ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামাঞ্চলে কাম্য শিক্ষার্থী, কাম্য ফলাফল,  শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে ন্যূনতম যোগ্যতা, শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত