চালের বস্তায় খাদ্য অধিদপ্তরের সিল, বিপাকে ব্যবসায়ী

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:১১

লক্ষ্মীপুর রামগতিতে নিজ অর্থায়নে চাল কিনে দরিদ্র এবং নদী ভাঙ্গনে সর্বহারা মানুষদের মাঝে বিতরণ করতে গিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সিল থাকায় বিপাকে পড়ছেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। 

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড ট্যাংকির বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। 

যানা যায়, স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুর রব বেপারী দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে বিতরণের জন্য চার লক্ষ বিশ হাজার টাকায় ২৫ কেজি ওজনের ৪০০ বস্তা চাল ক্রয় করেন। শুক্রবার ৯ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২৯৪ বস্তা চাল বিতরণ করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে স্থানীয় ইউপি সদস্য গ্রাম পুলিশকে সাথে নিয়ে ‘সরকারি চালের অভিযোগ’ এনে বিতরণ বন্ধ করে দেন। অবশিষ্ট ১০৬ বস্থা চাল জব্দ করা হয়। আব্দুর রব ব্যাপারী চরগাজী দক্ষিণ টুমচর গ্রামের মৃত শাহে আলমের ছেলে এবং ট্যাংকির বাজার এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

আব্দুর রব বলেন, নদীভাঙ্গা গরিব-অসহায় ব্যাক্তিদের মাঝে বিতরণের জন্য নোয়াখালী সুবর্ণচরের হারিছ চৌধুরী বাজারের মেসার্স হাজী হেলাল এন্ড সন্স থেকে ১০৫০ টাকা (২৫ কেজি বস্তা) হারে ৪২০০০০ টাকায় ৪০০ বস্তা চাল কিনি। সকাল থেকে ২৯৪ পরিবারের মাঝে বিতরণ করি কিন্তু দুপর বেলা গ্রাম পুলিশ এসে ইউএনও’র কথা বলে বিতরণের জন্য রাখা ১০৬ বস্তা চাল জব্দ করে। অমি অতীতেও গরিব মানুষের মাঝে শত শত বস্তা চাল বিতরণ করেছি। চাল ক্রয় করার রশিদ আমার কাছে আছে।

মেসার্স হাজী হেলাল এন্ড সন্স এর ম্যানাজার মুঠোফোনে জানান, আব্দুর রব ব্যাপারী থেকে অর্ডার পেয়ে আমরা চৌমুহনী মেসার্স আল নুর অটো রাইস মিলে অর্ডার দিলে তারা ৭ সেপ্টেম্বর ৪০০ বস্তা চাল আমাদের ডেলিভারি দেয়। আমরা ৮ সেপ্টেম্বর চালগুলো ট্যাংকির বাজারে পাঠাই। চালের বস্তায় যে সিলের কথা বলা হচ্ছে তা বস্তার ভিতরের দিক থেকে মারা। মিল মালিক পুরাতন বস্তা কিনে তা উল্টো করে সেলাই করে দিয়েছে।

ট্যাংকির বাজারের ব্যবসায়ী নেজাম, মনিরুল ইসলাম, আব্দুল আলিম এবং স্থানীয়রা জানান, আব্দুর রব ব্যাপারী দীর্ঘ দিন থেকেই অসহায় মানুষদের সাহায্য-সহযোগীতা করে আসছে। এগুলো সরকারি চাল না। চালগুলো তার নিজের টাকায় কেনা। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ আহম্মেদ বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের চাল সে কি করে কোথা থেকে এনে বিতরণ করেছে তা আমার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে চালগুলো জব্দ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম.শান্তনু চৌধুরী বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের সিল মারা চালের বস্তা বিতরণের খবর পেয়ে খাদ্য অধিদপ্তর কর্মকর্তা এবং ইউপি চেয়ারম্যানকে সে গুলো জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরোজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

সাহস২৪/রাজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত