কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা: দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১১:৩৩

সাহস ডেস্ক

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে মহানগরীর সংরাইশ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। পুলিশের ভাষ্য বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে তাদেরও ৩ সদস্য আহত হয়েছে।

কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক পরিমল দাশ জানান, মামলার ৩ নম্বর আসামি সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন (২৮) ও ৫ নম্বর আসামি সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২) এ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। 

পরিমল দাশ জানান, গোপন সংবাদে জানা যায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ রায়ের হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা সংরাইশ এবং নবগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছে। পরে কোতোয়ালি মডেল থানা এবং ডিবি পুলিশের একাধিক টিম আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। বালুমহল সংলগ্ন সংরাইশ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের নিকটে ডিবি ও থানা-পুলিশের টিম পৌঁছালে আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পালিয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থলে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরবর্তীতে গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

পুলিশ জানায়, সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য  পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ পিস্তল, একটি পাইপ গান, পিস্তলের অব্যবহৃত গুলি, গুলির খোসা এবং কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়।

২২ নভেম্বর বিকেলে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহা মারা যান। এ ছাড়া আরও ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন।

ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়।

সাহস২৪.কম/এমআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত