জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির উদ্বেগ

লকডাউন টানা আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সুপারিশ

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২১, ০১:৩০

সাহস ডেস্ক

সারাদেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকা অবস্থায় লকডাউন শিথিল করার সরকারি সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সেই সঙ্গে সারাদেশে কঠোর এই লকডাউন টানা আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

সোমবার (১২ জুলাই) রাতে পরামর্শক কমিটির সভায় এ সুপারিশ করা হয়। বুধবার (১৪ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় কমিটি।

কমিটির ছয় দফা সুপারিশ হলো-

১. সারাদেশে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এমতাবস্থায় লকডাউন শিথিল করার সরকারি সিদ্ধান্তে কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি চলমান কঠোর লকডাউন আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেন।

২. লকডাউনের অংশ হিসেবে কমিটি কোরবানির হাট বন্ধ রাখার প্রস্তাব করেন, প্রয়োজনে ডিজিটাল হাট পরিচালনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে সরকার লকডাউন শিথিল করে সীমিত পরিসরে কোরবানির হাট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিলে সেক্ষেত্রে সংযুক্ত বিধিনিষেধগুলো প্রয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়।

৩. সরকার সারাদেশে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করছে, যা সন্তোষজনক। জাতীয় পরামর্শক কমিটির পূর্ববর্তী সভার সুপারিশের প্রেক্ষিতে বেসরকারি পর্যায়ে আরটি পিসিআর পরীক্ষার মূল্য পুনঃনির্ধারণ করায় সভায় সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়। দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা আরও বৃদ্ধির জন্য বেসরকারি পর্যায়েও টেস্ট বৃদ্ধি প্রয়োজন, এ লক্ষ্যে টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় কিটের দাম আরও হ্রাস পাওয়ায় আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মূল্য কমিয়ে ১০০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণের পরামর্শ দেয়া হয়।

৪. বর্তমানে অনেক কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে শয্যার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছে। যার ফলশ্রুতিতে চিকিৎসা নিশ্চয়তার লক্ষ্যে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন অতীব জরুরি। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পর্যায়ে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উক্ত উদ্যোগকে সভায় অভিনন্দন জানানো হয় এবং দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ করা হয়।

৫. সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে দেশে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর ফাইজার, মডার্না ও সিনোফার্ম থেকেও করোনার টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে এবং আবারও সারাদেশে একযোগে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। দ্রুত আরও বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার উদ্দেশ্যে টিকার বয়সসীমা ১৮-তে নামিয়ে আনা, এনআইডিবিহীন জনসাধারণকে টিকার আওতায় আনা, রেজিস্ট্রেশন সহজীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে সরকারকে অতিদ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।

৬. কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গৃহীত সরকারের পদক্ষেপসমূহকে সাফল্যমণ্ডিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত