স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে 'লকডাউনের' প্রয়োজন হয় না: কাদের

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২১, ১৮:১৬

সাহস ডেস্ক

অযথা ফেরিঘাট, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল এবং কোরবানীর পশুর হাটে ভীড় সৃষ্টি না করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, কেউ যেন দায়িত্বহীনভাবে ফেরিঘাট, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল এবং পশুর হাটে বাঁধভাঙা ভীড় সৃষ্টি না করে, সেদিকে সবাইকে কঠোর সতর্ক থাকতে হবে। তা না হলে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে আসবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ ঠিকমত মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে 'লকডাউনের' প্রয়োজন হয়না। আর স্বাস্থ্যবিধি না মেনে উদাসীনতা প্রদর্শন করলে ‘লকডাউন’ অর্থহীন। ঠিকমত মাস্ক পরিধান করোনা সংক্রমণ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার সবচেয়ে বড় সুরক্ষা।

তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ এখন শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। একটা সময় অনেকে মনে করতেন গ্রামের মানুষের করোনা হবে না। এ ধারণা ভুল প্রমাণ করে ভাইরাসের সংক্রমণ এখন গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই সংক্রমণ আগের দিনের হারকে অতিক্রম করে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় মাস্ক পরার পাশাপাশি কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

করোনার উদ্ভূত এই পরিস্থিতির ভিতর ঈদুল আজহা উপলক্ষে অসহায়, দুঃস্থ এবং খেটে-খাওয়া মানুষের পাশে থাকা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীর প্রতি আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের সামর্থ্যবান ও জনপ্রতিনিধিদের অসহায় এবং অসুস্থ কর্মীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দলীয় রাজনৈতিক ও সাংগঠিক কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, এখন একমাত্র কর্মসূচি হচ্ছে অসহায় মানুষের পাশে থাকা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবীসহ দলমত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক দলকে সচেতনতা বাড়ানো জন্য ক্যাম্পেইন পরিচালনার আহবান জানিয়ে বলেন, হাট বাজারে বা চায়ের দোকানে জটলা তৈরি না করে সতর্কভাবে চলাফেরা এবং মাস্ক পরিধানের মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

নিজের সুরক্ষার জন্য সতর্ক না হলে, উদাসীনতা দেখালে কেউ আমাদের সুরক্ষিত করতে পারবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একসময় হয়তো হাসপাতালে বেড বাড়িয়েও রোগী সামাল দেওয়া যাবে না, সেই পরিস্থিতি মাথায় রেখে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামজিক দুরত্ব বজায়সহ অন্যান্য সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সবশেষে সবাইকে করোনা প্রতিরোধে মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে উৎসাহ দেন।

সাহস২৪ডটকম/সজিব তুষার

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত