বসতবাড়িতে সুন্দরবনের অজগর

প্রকাশ : ৩১ মে ২০২১, ১৯:২৮

সাহস ডেস্ক

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার লোকালয় থেকে সুন্দরবনের একটি অজগর উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। অজগরটির ওজন প্রায় ১২ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ৯ ফুট। বন বিভাগ, ওয়াইল্ড টিম, ভিটিআর (স্বেচ্ছাসেবী) সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করেন।

সোমবার (৩১ মে) চিলা ইউনিয়নের গিলাখুল গ্রামের রাসেল হাওলাদারের বাড়ি থেকে অজগরটি উদ্ধার করা হয়।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের এসিএফ এনামুল হক বলেন, সোমবার সকালে রাসেল হাওলাদার অজগরটিকে দেখতে পেয়ে বন বিভাগে খবর দেন। পরে দুপুর ১২টায় সুন্দরবনের শ্যালা নদীর পাড়ে গহীন বনে অজগরটিকে অবমুক্ত করা হয়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে অজগরটি সুন্দরবন থেকে ভেসে লোকালয়ে চলে আসে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা বলেন, সুন্দরবনে সাধারণত বার্মিজ অজগর (Burmese python) পাওয়া যায়। নির্বিষ এই সাপটি নিশাচর ও খুবই অলস প্রকৃতির, প্রয়োজন ছাড়া নড়াচড়াও করে না। এই প্রজাতিটি গাছে একাকী বাস করলেও শুধু প্রজননকালে জোড়া বাধে। সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে প্রজননকাল। দেশের ম্যানগ্রোভ বন, ঘাসযুক্ত জমি, চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরসবুজ পাহাড়ি বনে এদের দেখা পাওয়া যায়। সাপটি সাধারণত মানুষের ক্ষতি করে না। খাদ্য হিসেবে এরা ইদুর, মুরগি, সাপ-কচ্ছপের ডিম, ছোট বন্যপ্রাণী ইত্যাদি খায়। এটি তার আকারের চেয়েও অনেক বড় প্রাণী খুব সহজেই গিলে খেতে পারে। সাপটি একবার পেটভরে খেতে পারলে দুই বছর পর্যন্ত না খেয়েও থাকতে।

জোহরা মিলা বলেন, চামড়ার জন্য সাপটি পাচারকারীদের লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফলে আমাদের বনাঞ্চল থেকে এটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী এ বন্যপ্রাণীটি সংরক্ষিত, তাই এটি হত্যা বা এর যে কোনো ক্ষতি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত