সরিষাবাড়ীতে ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলন, ঝুকিপূর্ণ রাস্তা নির্মাণ

প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২১, ১৭:৩৮

সরকার সারা দেশে অবৈধ নদী দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সুবর্ণখালী নদীতে ভেকু বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সরকারী রাস্তার কাজে ফেলা হচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি, ২টি ব্রীজ, বাঁধ, হাসপাতালসহ কয়েকটি  সরকারী প্রতিষ্ঠান, সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি প্রধান সড়ক ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারী আরামনগর বাজার ট্রাক সমিতি – কয়ড়া মাদারগঞ্জ যোগাযোগের চর ধানাটা ব্রীজের নিচে সকালে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিন ব্যাপী বালু উত্তোলন করলে স্থানীয় এলাকাবাসী বিকেলে ড্রেজার বন্ধ করে দেয়। পরে ৩ ফেব্রুয়ারী ডাকবাংলো পিছনে ড্রেজার বসিয়ে উত্তোলন করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে ড্রেজার মেশিন টি পুড়িয়ে দেয় প্রশাসন।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) থেকে চর ধানাটা ব্রীজের নিচ থেকে বালু উত্তোলন নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে নানা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ও সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, জামালপুর জেলার ৮টি পৌরসভার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে তিন প্যাকেজে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চর ধানাটা ব্রীজ হতে চকহাটবাড়ী এআরএ জুট মিলের পুরাতন কলোনী পর্যন্ত ১৪০০ মিটার প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পে মাটির নির্ধারিত প্রতি হাজারে ৯৭৪৭ টাকা অর্থ ধরা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ অল্প টাকা খরচ করে বেগু দিয়ে পাড় থেকে বালু উত্তোলন করে ঝুকিপুর্ণ রাস্তা নির্মাণ করে যাচ্ছে। নদী থেকে বালু উত্তোলন সফল হলে মাটি বরাদ্দের প্রায় কোটি টাকা হদিস পাওয়া যাবে না। নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ভবিষ্যতে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। নদী থেকে এভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে বর্ষা মৌসুমে বেড়ি বাঁধ ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব উদ্দিন জানান, বিষয়টি দেখতেছি।

এদিকে মুঠোফোনে সরিষাবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র (দায়িত্বপ্রাপ্ত) কাউন্সীলর মোহাম্মদ আলীকে কল দিলে তিনি রিসিভ করেনি।

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জাতীয়াবাদী যুবদল থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া রফিকুল ইসলাম মাষ্টার ১নং সাতপোয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ভোটারদের মধ্যে নানা সমালোচনার গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে।

এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের অভিযোগ, চর ছাতারিয়া গ্রামের শুক্কুর মন্ডলের পুত্র রফিকুল ইসলাম ১৯৯২ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সাতপোয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫ সালে ফুলের মালা দিয়ে আবারো আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ২০২০ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়ে বর্তমানে নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশি হয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, রফিকুল ইসলাম সাহেব সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। পরে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি পদ পান। ২০১৫ সালে আবার আওয়ামী লীগে যোগ দেন। যখন যে দল আসে সে দলে যোগ দিয়ে সুবিধা আদায় করে। আমরা এলাকাবাসী এর নিন্দা জানাচ্ছি।

তারা আরো বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট হুশিয়ারী করেছেন কোন অনুপ্রবেশকারী যেন দলের মনোনয়ন না পায়।

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রউফ গফুর জানান, আমাদের ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনেকেই রয়েছে। রফিকুল ইসলাম মাষ্টারের বিষয়ে প্রশ্ন করিলে তিনি বলেন, রফিক সাহেব সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, পরে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। সম্প্রতি তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত