অবশেষে পেছাল ঢাকা সিটির ভোট

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ২১:১৬

সাহস ডেস্ক

আসন্ন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ছিল আগামী ৩০ জানুয়ারি। তবে সরস্বতী পূজার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঢাকার দুই সিটির ভোটের তারিখ পরিবর্তন করলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) নির্ধারণ করা হয়েছে।

১৮ জানুয়ারি (শনিবার) নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে বিকেল থেকে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় একথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।

সরস্বতীপূজার কারণে ভোট গ্রহণের তারিখ পেছানোর দাবিতে সোচ্চার ছিল বিভিন্ন সংগঠন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, মেয়র প্রার্থীসহ সবাই পূজার দিনে ভোট গ্রহণের বিপক্ষে ছিল। তবে নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই ৩০ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে অনড় ছিল। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইসির এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আন্দোলন করে আসছিলেন।

৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোটগ্রহণের তারিখ রেখে গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া শেষে প্রার্থীরা বর্তমানে প্রচারণায় আছেন।

দুই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ১৩ প্রার্থীসহ প্রায় সাড়ে ৭শ প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

১ ফেব্রুয়ারি ভোটের বাধা ছিল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এরইমধ্যে ইসির নির্দেশনায় পরীক্ষা পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে ঘোষিত সময়ানুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার), মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৫ জানুয়ারি (রবিবার)। প্রতীক বরাদ্দ হয়েছিল ১০ জানুয়ারি (শুক্রবার)। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়া কথা ছিল ৩০ জানুয়ারি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করার তারিখ ছিল ১২ জানুয়ারি (রবিবার)। আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন।

ডিএনসিসি’র রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ইসির যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম ও ডিএসসিসি’র রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেনকে নিয়োগ করা হয়েছে।

৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ডিএনসিসি গঠিত। এ নির্বাচনে ১ হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রের ৭ হাজার ৫১৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

ডিএসসিসিতে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে ১ হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত