পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২২, ১২:৩৬

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় এক স্কুল ছাত্রীকে (১৫) বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি হাসান আলীকে (২৫) ২০ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলার আটোয়ারী উপজেলা বাজার থেকে একটি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

একই দিন দিবাগত রাতে আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা প্রধান আসামি হাসানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি প্রতারক প্রেমিক হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হবে। এ নিয়ে এই মামলার এজাহারভুক্ত ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গত ৬ আগস্ট (শনিবার) রাতে জেলার আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দরপাড়া গ্রামে ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রবিবার (৭ আগস্ট) সকালে আটোয়ারী থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা দায়ের করে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার।

ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর বাড়ি জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায়। ভুক্তভোগী ছাত্রী পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনার পরদিন রবিবার (৭ আগস্ট) আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের মালগোবা এলাকার রাজু (১৯) ও সাইফুল ইসলাম (৪৮) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের আদালতে তোলা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠায়।

ধর্ষণের অভিযুক্তরা হলেন, আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী মালগোবা গ্রামের মৃত আমিনার রহমানের ছেলে মো. হাসান (২৫) (মূলহোতা), একই এলাকার ফতেহপুর গ্রামের খামির উদ্দিনের ছেলে মো. সবুজ (৩০), আব্দুর রহমান (৫০), তার ছেলে আমিনুল ইসলাম ডিপজল (২৫), খাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. নজরুল (৪০) ও কৈলাসের ছেলে ওমর (৩০)।

জানা গেছে, এক বছর আগে মালগোবা গ্রামের হাসানের সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক হয় ওই কিশোরীর। শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যায় সে (কিশোরী)। দুপুরে মোবাইলে কল দিয়ে দেখা করার কথা বলে তাকে পঞ্চগড়ে ডেকে নেয় হাসান। বিকালে পঞ্চগড় পৌঁছালে কাজি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাতে আটোয়ারী উপজেলার বন্দরপাড়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে হাসান ও তার বন্ধু সবুজ ধর্ষণ করে তাকে।

এ সময় ওই এলাকার আব্দুর রহমান, তার ছেলে আমিনুল ইসলাম, তাদের প্রতিবেশী নজরুল ও ওমর সেখানে উপস্থিত হলে হাসান ও সবুজ পালিয়ে যায়। এ সুযোগে তারাও ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে তাকে ফেলে সবাই পালিয়ে যায়। গভীর রাতে মান্নান নামে এক পথচারী কিশোরীকে উদ্ধার করে বন্দরপাড়া গ্রামের নায়েব আলীর বাড়িতে নিয়ে যান। পরে নায়েব আলী তার পরিবারের সদস্যদের খবর দিলে তারা আসেন এবং রবিবার ভোরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই ছাত্রীকে।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত