গ্রুপিং দ্বন্দ্বে কুমিল্লায় কিশোর হত্যা, গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২২, ১৮:৫৪

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লার নগর উদ্যান থেকে ডেকে নিয়ে শাহাদাত হোসেনকে (১৭) প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব। এ ঘটনায় কিশোর গ্যাং রতন গ্রুপের লিডার রতনসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি সুইচ গিয়ার, চারটি বড় ছোরা এবং একটি অ্যান্টি কাটার উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে নিহতের মা সাহেনা বেগম কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করলে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নগরীর ফৌজদারী মফিজাবাদ কলোনির আবুল কাশেমের ছেলে মো. রতন (২০), মো. জহির মিয়ার ছেলে মো. আকাশ হোসেন (২০), শাহালমের ছেলে মো. সিয়াম হোসেন (২০), ভাটপাড়া এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে মো. তানজীদ (১৯), কালিয়াজুড়ি এলাকার মৃত মো. ফয়েজের ছেলে মো. ইয়াসিন আরাফাত রাসেল এবং বাঘমারা এলাকার মোহন মিয়ার ছেলে আসিফ হোসেন রিফাত (১৯)।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত শাহাদাত হোসেনও কিশোর গ্যাং ঈগল গ্রুপের সদস্য ছিল। তার গ্রুপের সদস্যরা গত ৬ জুলাই রতন গ্রুপের এক সদস্যকে মারধর করে। ওই ঘটনার জের ধরে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। পূর্ব শত্রুতার জেরে রতন গ্রুপের সদস্যরা যখনই নগর উদ্যানে যায় তখনই ঈগল গ্রুপ তাদের ধাওয়া করে। আবার একইভাবে ঈগল গ্রুপের সদস্যরাও সেখানে গেলে রতন গ্রুপ ধাওয়া করতো।

মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, ঘটনার দিন শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ঈগল গ্রুপের সদস্যরা রতন গ্রুপের সদস্য তানজীদের পরিচিত এক ছোট ভাইকে মারধর করে আহত করে। এতে রতন গ্রুপের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেয় যে, ঈগল গ্রুপের সদস্যদের যেখানেই পাবে সেখানেই প্রতিহত করবে। এমন সময় রতন গ্রুপের সদস্য তানজীদ এসে উপস্থিত অন্য সদস্যদের জানান, ঈগল গ্রুপের সদস্যরা নগর উদ্যানে অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে রতনের নেতৃত্বে অন্য সদস্যরা ফৌজদারী মফিজাবাদ কলোনি মাঠে একত্রিত হন। পরে বিকেল ৪টার দিকে তারা দেশীয় অস্ত্রসহ নগর উদ্যানে উপস্থিত হন।

তিনি বলেন, একপর্যায়ে শাহাদাত হোসেনকে উদ্যান থেকে ডেকে একটি স্কুলের সামনে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে কিল-ঘুষি, লাথি ও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান তারা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারদের কুমিল্লার কোতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

 

 

সাহস২৪.কম/টিআর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত