সরকার সহযোগিতা না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে: সিইসি

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২২, ১৫:০২

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি : সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের সময় যেটা হবে, তখন সরকার থাকবে, যে সরকারই হোক। নির্বাচনের সময় সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহায়তা করবে। ইসি সরকারের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারবে। সরকার সহায়তা না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।

সোমবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ মুসলিগ লীগের সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। দলটির সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজার নেতৃত্বে ১২ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে যায়।

সিইসি বলেন, সরকারের কাছ থেকে যে সহযোগিতা, সাহায্য চাইবো সেটি আইনের আলোকেই চাইবো। সে বিষয়েও আমাদের ভূমিকা দেখবেন। সত্যি সত্যি আমাদের উপরে আরোপিত ক্ষমতার কমান্ড আমার হাতে, শক্তিটা পুলিশের হাতে, বিজিবির হাতে, সেনাবাহিনীর হাতে। শক্তি আমার হাতে নয়, কমান্ডটা আমার হাতে আছে। আমরা কমান্ড করলে যেন শক্তিটা রেসপন্স করে সে ধরনের অবস্থা আমাদের সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচনের প্রয়োজনেই সেটি প্রয়োজন।

সিইসি আরও বলেন, পরিশেষে আমি বলতে চাই, নির্বাচনের কাজটি খুব সহজ নয়, কঠিন। কঠিন হলেও এটাকে আমাদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে এবং এই কঠিন কাজটা, চ্যালেঞ্জটা মোকাবিলা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সবার মধ্যে যদি চিন্তায় ঐক্য থাকে, চেতনায় ঐক্য থাকে, আমাদের বিশ্বাসে যদি আন্তরিকতা সততা থাকে, তাহলে আমরা যেকোনো কঠিন কাজ, যে কোনো কর্মযজ্ঞ, যতই জটিল হোক না কেন, যতই অসাধ্য হোক না কেন, আমরা সাধ্যে আনতে পারবো।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার প্রয়াস থাকবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, একটু আগেই বলেছেন (বাংলাদেশ মুসলীগ লীগের এক নেতা) নির্বাচন কমিশনের সাধ্য অসীম নয়। অংশীজনের সহযোগিতা লাগবে। রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে বিদ্যমান মোটাদাগে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা যায়। যদি আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই প্রয়াসটা নেন। আমাদের তরফ থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না।

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধান যদি কালকেই সংশোধন হয়, আমরা তার আওতায় পড়ে যাবো। ১৮তম হলে তার আওতায় পড়ে যাবো। ১৯তম হলেও আমরা তার আওতায় পড়ে যাবো। এতে আমাদের কোনো অসুবিধা বা বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। আমরা অবশ্যই সংবিধান মান্য করবো।

তিনি বলেন, আপনারা রাজনৈতিক শক্তি বা দল বা রাজনৈতিক শরীক দলগুলো যারা আছেন, আপনারা নিজেদের তরফে চেষ্টাগুলো করে যান। যাতে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক পরিবেশটা ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অনুকূল হয়। নির্বাচনের সময় সব দল ও অংশীজনের আন্তরিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, ইসিতে নিবন্ধিত মোট ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে এই সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শেষ হবে।

সাহস২৪.কম/এসএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত