বান্দরবানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি, সেনাসদস্যসহ নিহত ৪

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩:২২

সাহস ডেস্ক

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর ওপর সন্ত্রাসীদের হামলায় সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার  হাবিবুর রহমান এর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ফিরোজ নামে এক সেনাসদস্য। এ নিয়ে ওই ঘটনায়  এক সেনাসদস্যসহ চারজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।  তবে নিহত অপর তিন সন্ত্রাসীর এখনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। 

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় বান্দরবানের রুমা সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বথিপাড়ার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সেনাবাহিনী'র বান্দরবান ব্রিগেড অফিস থেকে আজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বান্দরবানের রুমা জোনের একটি টহল দলের সঙ্গে সন্তু লারমা-সমর্থিত জেএসএসের মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিবিনিময়ের ঘটনায় সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসারসহ তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরেক সেনাসদস্য।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনী সোর্সের মাধ্যমে খবর পায় যে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠক পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মূল দল সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী দলের সদস্যরা রুমা জোনের অন্তর্গত পাখইপাড়া এলাকায় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। এই খবরের ভিত্তিতে রুমা জোনের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি সেনা টহল দল পাখইপাড়ার দিকে রওয়ানা দেয়। বুধবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে পাখইপাড়া যাওয়ার পথে বথিপাড়া এলাকায় গেলে পাশের জঙ্গলের একটি জুমঘর থেকে সন্ত্রাসীরা সেনা টহল দলকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি করতে থাকে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে সেনা টহল দলটিও সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। সেনাবাহিনীর গুলিতে সন্ত্রাসী দলের তিন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সেনাসদস্যদের গুলিতে দিশেহারা হয়ে সন্ত্রাসী দলের অন্য সাত থেকে আট জন সদস্য পালিয়ে যাওয়ার সময় সেনাবাহিনীর টহল দলকে লক্ষ্য করে এতোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলি সেনাবাহিনীর টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান মাথায় বিদ্ধ হলে তিনি মারা যান। টহল দলের সৈনিক মো. ফিরোজ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে সৈনিক ফিরোজকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম সম্মিলিতি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

অভিযানে সেনা টহল দল সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি এসএমজি, ২৭৫টি তাজা গুলি, তিনটি এম্যোনিশন ম্যাগাজিন, তিনটি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের পাঁচটি গুলি, চার জোড়া ইউনিফর্ম এবং নগদ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর রুমা জোনের আওতাধীন বথিপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনীর চারটি দল সন্ত্রাসী তৎপরতা চালায়। নিরাপত্তা বাহিনী যেকোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা নির্মূলে সব সময় কাজ অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন মূল দলের সদস্য বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও এ বিষয়ে জনসংহতি সমিতির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত