‘বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধে বিদেশে মির্জা ফখরুলের চিঠি’

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ২১:৫৫

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য মির্জা ফখরুল সাহেব নিজে দস্তখত দিয়ে চিঠি লিখেছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অমিক্রন সংক্রমন প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেক্ষে করোনা প্রতিরোধসামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে বুঝতে পেরে বিএনপি এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব নিজে দস্তখত দিয়ে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। সাহায্য মানুষের জন্য, জনগণের জন্য আসে, সাহায্য সরকারের জন্য আসে না। যে রাজনৈতিক দল নিজেরা স্বাক্ষর করে বাংলাদেশে সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে, তাদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকে না।

গণমাধ্যমে দেখা যায় তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বিএনপি’র একটি সভা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমে দেখলাম গতকাল বিএনপি’র একটি সভা হয়েছে, সেই সভায় পলাতক আসামী তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেছেন। হাইকোর্টের একটি আদেশ আছে, তারেক রহমানের ব্যাপারে কোনো সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না। কিন্তু আমি গণমাধ্যমে দেখলাম তিনি সভাপতিত্ব করেছেন সেই সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। এটি হাইকোর্টের নির্দেশনার বরখেলাপ।

তিনি বলেন, তাদের রাজনৈতিক দৈন্য এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীকে তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করতে হয়েছে। তাদের দলের যে সংবিধান সেটির ৭ ধারার পরিবর্তন করা হয়েছে যে দুর্নীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত যে কোনো দুর্নীতিবাজও বিএনপি নেতা হতে পারবে। অর্থাৎ দুর্নীতিকে তারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে। এই লজ্জা কার!

এই করোনার মধ্যে মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৫ জন নেতা এবং অনেক সংসদ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন, নেতাকর্মীদের মধ্যে কমপক্ষে দেড় হাজার নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে বলে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আমার রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা মেয়র করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। বিএনপি এবং তার মিত্ররা শুধু ফটোসেশনের মধ্যে আর টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে সভা করেছে, আর সরকারের সমালোচনা করেছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত পদক্ষেপে অনেক উন্নত দেশের তুলনায় আমরা দেশের মানুষকে বেশি সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হয়েছি। বিএনপি এ নিয়ে যতো অপপ্রচার চালিয়েছে এজন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। যারা সমালোচনা করেছিলেন তাদেরকেও আমরা করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দিয়েছি। বিএনপি’র যেসব নেতা এখনো বুস্টার ডোজ নেননি, সরকারের কাছে টিকা আছে আসুন আমরা আপনাদেরকে বুস্টার ডোজ দেবো, যাতে আপনারা ভালো থাকেন। আপনারা সুস্থ থাকুন, কিন্তু দয়া করে অহেতুক সমালোচনা করবেন না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্টে আইন পাস করেছেন যে কিভাবে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিএনপি নেতারাও বলেছিলেন এই দেশে ১৫ দিনেও আইন হয়েছে সুতরাং তাড়াতাড়ি একটি আইন করুণ। যেই আমরা আইন করার উদ্যোগ নিলাম এবং আইনটি পাস হলো, অমনি তারা ভিন্ন সুরে কথা বলা শুরু করলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবও আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছেন।

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, আওয়ামী লীগ এই আইন পার্লামেন্টে নিয়ে এসেছে এবং এতে বিএনপির সংসদ সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের সংশোধনীও গ্রহণ করা হয়েছে, এরপরও তারা সমালোচনা করেন। আসলে বিএনপিকে ‘না’ রোগে পেয়ে বসেছে। সবকিছুতেই না বলা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। না বলতে বলতে নিজেরাই যে কখন নাই হয়ে যান, আমি সেই শংকার মধ্যে আছি।

অনুষ্ঠানে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজীত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি প্রধান অতিথি এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত