ডা. মুরাদের অশ্লীল অডিও সরাতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:১১

সাহস ডেস্ক

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের অসৌজন্যমূলক ও বিতর্কিত অডিও সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।  একইসঙ্গে সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অডিও-ভিডিও সরাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আগামীকালের মধ্যে আদালতে জানাতে বলা হয়েছে।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের মৌখিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ব্যারিস্টার সুমন আদালতে বলেন, জরুরিভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর অশ্লীল অডিও-ভিডিওগুলো অপসারণ করা প্রয়োজন। অপসারণ না করলে অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা এই ধরনের গালাগালি এবং অশ্লীল কথা বার্তা শুনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই প্রতিমন্ত্রীর অশ্লীল অডিও-ভিডিও দ্রুত সরাতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।

এরপর আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারকে বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে একদিনের মধ্যে ওই অডিও-ভিডিওগুলো সরানোর পদক্ষেপ নিতে বলেন। এ বিষয়ে বুধবার অগ্রগতি  আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে  সমালোচনার মুখে পড়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র তার দফতরে পাঠিয়েছেন। বর্তমানে পত্রটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দফতরে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করে গত কয়েক দিন ধরে সমালোচনায় আছেন ডা. মুরাদ হাসান। তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার ওই বক্তব্যের সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছিলেন নারী অধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিও উঠেছিল।

এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়েও আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে তারাও মুরাদের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

এরমধ্যে গতকাল রবিবার মধ্যরাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মুরাদের টেলিফোন কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে ওই চিত্রনায়িকার উদ্দেশ্যে তাকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ কথা বলতে শোনা গেছে। এই কথোপকথন নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে তার এ ধরনের বক্তব্য ও মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। এদিকে প্রতিমন্ত্রীর এসব মন্তব্যকে ‘কুরুচিপূর্ণ’, ‘অশালীন’ ও ‘মর্যাদাহানিকর’ বলে নিন্দা ও পদত্যগের দাবি জানিয়েছেন জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ও অধিকারকর্মীরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত