মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২১, ১৬:৪২

সাহস ডেস্ক

মাদকের করাল গ্রাস থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে বর্তমান সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর বলে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও চোরাচালান বর্তমানে একটি বৈশ্বিক সমস্যা।

শনিবার (২৬ জুন) মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক চোরাচালান ও অপব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলা ও দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে। অবৈধ মাদক পাচার রোধে আমরা প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছর আমরা দিবসটি ব্যাপকভাবে পালন করতে পারিনি। এবারও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আজকের আলোচনাসভাটি সীমিত পরিসরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের পরিবর্তে অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যেমন আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে সম্পূর্ণ দমন করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। পাশাপাশি মাদকাসক্তদের সুচিকিৎসা ও তাদের পুনর্বাসন বিষয়েও সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। মাদক সংক্রান্ত অপরাধ দমনে আইনকে যুগোপযোগী করা হয়েছে। মাদক অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ নিশ্চিত করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাজে আরও গতিশীলতা আনতে অধিদফতরকে শক্তিশালী করা হয়েছে।

নিরাময় কেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মাদক নিরাময় ও পুর্নবাসন কেন্দ্র রয়েছে। আগে একটি অচল ছিল। পরে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট করা হয়েছে। এখন এটি ১৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। আমরা প্রতিটি বিভাগে ও জেলায় একটি করে মাদক নিরাময় কেন্দ্র তৈরির বিষয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনও মাদকদ্রব্য উৎপন্ন হয় না। পাশের দেশ ও অন্যান্য মাদক উৎপাদনকারী দেশের উৎপাদিত মাদক পাচার হয়ে আমাদের দেশে আসে। ফলে অবৈধ মাদক পাচার রোধে আমরা প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। চুক্তি অনুযায়ী উক্ত দেশ দুটির সঙ্গে আমরা নিয়মিত বৈঠক করছি। পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গেও আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

সর্বস্তরে ডোপ টেস্টে জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে চাকরিজীবনে চাকরিতে প্রবেশের শুরুতে সর্বক্ষেত্রে যদি ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়, তবে মাদকের আগ্রাসন কমে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত