ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’: বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায়

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২১, ০২:১৬

সাহস ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’ এর প্রভাবে নদীর পানি প্রায় তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, কৈখালী, মুন্সিগঞ্জ ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারের আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার আগাম ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা বহনযোগ্য সম্পদ নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া উপকূল এলাকা আশাশুনির প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আনুলিয়া, খাজরা এবং শ্যামনগরের পদ্মপুকুর, গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, কৈখালি , ঈশ্বরীপুর ,রমজাননগর, কাশিমারিসহ সুন্দরবন লাগোয়া মুন্সিগঞ্জ  হরিনগর এলাকায় মাইকিং করে জনগনকে সতর্ক করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ১৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। দেড় হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হয়েছে মানুষের আশ্রয়ের জন্য। এর মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা ৭৫ হাজার বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আ ন ম আবু জার গিফারি।

এছাড়াও জেলায় দেড় হাজার স্কুল কলেজ মাদরাসা ও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কোভিড চলাকালীন নিরাপত্তা বজায় রেখে তাদের খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ইউএনও।

এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধগুলি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বেড়িবাঁধের ৫৫টি পয়েন্ট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পূর্নিমার ভরাকাটাল ও পূর্নচন্দ্র গ্রহণের সময় ‘ইয়াশ’ এর দাপটে জলোচ্ছাসের আশঙ্কা করছেন উপকূলবাসী।

এদিকে, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বন বিভাগের ৮টি টহল ফাঁড়ির সব সদস্যকে নিরাপদে সরে যাবার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সহকারি বন সংরক্ষক এম এ হাসান বলেন, ‘ইয়াশ’ আঘাত করলে এবং অস্বাভাবিক জলোচ্ছাস হলে তাদেরকে উদ্ধার করে আনার জন্য নৌযানের ব্যবস্থা রাখা  হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত