স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভুলে টিকা পেতে দেরি হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ : ২১ মে ২০২১, ০১:৪৮

সাহস ডেস্ক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কারণে চীন ও রাশিয়া থেকে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে দেরি হচ্ছে। কারণ, দেশ দুটির কাছ থেকে বাণিজ্যিকভাবে টিকা পেতে যেসব প্রক্রিয়া শেষ করার কথা, তা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেরি করেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন।

চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা সংগ্রহের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরিতে অদক্ষতার কারণে এই দেরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। চীন আমাদের কাছে তিনটি ডকুমেন্ট পাঠিয়েছিল। এর মধ্যে আমরা দুটি ডকুমেন্ট তাদের ফেরত পাঠিয়েছি। দুটির মধ্যে একটি কালকে ফেরত পাঠিয়েছি, যেখানে একটি অংশ ছিল ইংরেজিতে এবং আরেকটি ছিল চীনা ভাষায়। আমরা সই করে ফেরত পাঠানোর সময়ে চীনা ভাষার অংশে সই করেছি। এটা জানার পর চীনা ভাষার অভিজ্ঞ একজন অধ্যাপককে নিয়োগ করে সেটি (ডকুমেন্ট) সংশোধন করা হয়েছে। দিস আর লাউজি ওয়ার্ক এবং এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করেনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুধু যোগাযোগ করিয়ে দেয়। অন্য সব বিষয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেখে। সেখানে একটু দেরি হচ্ছে।

মোমেন বলেন, কিছুটা দেরি হচ্ছে। চীনে আমাদের রাষ্ট্রদূত খুব হতাশ। তিনি এই নথিগুলো চূড়ান্ত করছেন। তিনি আমাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং আমাদের মুখ্য সচিবের কাছে এগুলো জানাতে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। আশা করি আগামী সপ্তাহের মধ্যে চীনের সঙ্গে নথিগুলো চূড়ান্ত করা হবে।

রাশিয়ার কাছ থেকে বাণিজ্যিকভাবে টিকা সংগ্রহে কালক্ষেপণেরও সমালোচনা করেন তিনি।

আব্দুল মোমেন বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে কিছু ডকুমেন্ট সই হয়েছে এবং কিছু হয়নি। শুরুতে তাদের কাছে থেকে টিকা নিতে একটি সংখ্যা বলা হয়েছিল এবং পরে আবার সংখ্যা বদল করা হলো। রাশানরা এটি পছন্দ করে না। আপনি বললেন আমি এত আনব। পরে বললেন আমি কমিয়ে আনব। এগুলো নিয়ে আমরা ব্যস্ততায় আছি। আশা করছি, এ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে পারব। রাশিয়ার সঙ্গে বিক্রয় চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। এটার কাজ চলছে, শেষ হয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত