আমরা ভারতের টিকার ওপর নির্ভর করে বসে নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২১, ১৩:৫৮

সাহস ডেস্ক

যথাসময় ভারতের করোনা টিকার না পাওয়ায় টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা ভারতের টিকার ওপর নির্ভর করে বসে নেই। ইতোমধ্যে রাশিয়া-চীনের সাথে টিকার জন্য যোগাযোগ করেছি। চীন পাঁচ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দেবে বলে জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অক্সিজেন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দেশে গ্যাস অক্সিজেনের অভাব নেই। শুধু করোনাকালে আমদানি করার প্রয়োজন হয়েছিল লিকুইড অক্সিজেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের করোনা হাসপাতালগুলোতে সাত হাজার রোগীর চিকিৎসা দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। রোগী বেড়ে যদি ২১ হাজারে পৌঁছায় তাহলে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হবে। এখন যেভাবে হিমশিম খাচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। অথচ ভারতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনসহ চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত ছিল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সারাবছর ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি করি না। এই করোনার সময় যখন সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী ছিল তখন প্রতিদিন আমরা আমদানি করেছি। কিন্তু গত চার পাঁচ দিন কোনও অক্সিজেন আসছে না, আমরা তো চলছি। আমাদের তো অক্সিজেনের অভাব নেই। আমরা তো শুধু লিকুইড অক্সিজেন দিয়ে কাজ করি না। সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন তো নতুন হলো, এর আগেও হাসপাতালে অক্সিজেন ছিল। সেগুলোর কিছু লিকুইড অক্সিজেন, আর বেশিরভাগই ছিল গ্যাস অক্সিজেন।

জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে গ্যাস অক্সিজেনের অভাব নেই। এর প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি অনেক। আমাদের লোকাল যারা লিকুইড অক্সিজেন তৈরি করে তাদের সব নিয়ে আমরা হাসপাতালে দেবো, যেখানে প্রয়োজন হবে। আমাদের অনেক শিল্পকারখানাতেও লিকুইড অক্সিজেন নেয়, সেটাও আমরা রিজার্ভ করে ফেলেছি, প্রায় ৪০ টনের মতো। আমরা আমদানি করতাম ৪০-৫০ টন।

তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে যেখানে গ্যাস অক্সিজেন ব্যবহার করার সুযোগ আছে সেখানে আমরা বলেছি, গ্যাসে কনভার্ট করে ফেলতে বলেছি। এখন গ্যাস দিয়ে চলতে বলেছি। তাতে আমাদের লিকুইড গ্যাসের প্রয়োজন পড়বে না। পাশাপাশি আমরা ছোট ছোট প্ল্যান্ট ইমপোর্ট করার ব্যবস্থা নিয়েছি। এটাও পর্যাপ্ত না, কারণ সবদেশেও তো প্রয়োজন। এরপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, এগুলো নিয়ে এসে হাসপাতালে স্ট্যান্ডবাই রাখবো। কিন্তু বর্তমানে যে পরিমাণ রোগী আছে আমরা হিসাব করে দেখেছি, এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। রোগী যদি ৭ হাজারের জায়গায় ২১ হাজার হয় তাহলে কিন্তু সংকট হবে। শুধু এই দেশ না, যেকোনও দেশেই সংকট হবে।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত