গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘বঙ্গবন্ধু’ জন্মোৎসব

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২১, ২১:৫৩

সাহস ডেস্ক

আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ পরিবার।

বুধবার (১৭ মার্চ) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তারা নতুন প্রজন্মের শিশুদের ভবিষ্যতের কর্ণধার হিসেবে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে এতে নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, ডীন অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সাহসী হৃদয়ের মানুষ ছিলেন জাতির জনক। আর এ কারণেই তিনি কয়েক বছরের ব্যবধানে সোনার বাংলার অনেক কাজ সম্পন্ন করে গিয়েছিলেন।

বক্তারা বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে রামেন্দু মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শীতার কারণেই আজকের বাংলাদেশ, তার কারণেই আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি। আজ যদি বাংলাদেশ স্বাধীন না হত, তবে আমাদের অবস্থা যে পাকিস্তানের মত হত; তা বলার অবকাশ রাখে না।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক জীবনে কখনও হঠাকারি সিদ্ধান্ত নেননি বঙ্গবন্ধু; যখন যেটা প্রয়োজন হয়েছে, তখন সেটাই তিনি করেছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, অনন্যসাধারণ মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ব্যক্তিজীবনে তিনি যেমন কোমল হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন, তেমনি রাজনৈতিক জীবনে ছিলেন ভিশনারি লিডার। আর এ কারণেই তিনি কখনও বঙ্গবন্ধু, কখনও বিশ্ববন্ধু, রাজনীতির কবি উপাধি পেয়েছেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আপামর জনতা যে সংগ্রাম করেছিলেন, তারই ফসল হলো আজকের বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শুধু দেশ স্বাধীন করেননি, তিনি শিখিয়েছেন নৈতিক শিক্ষা ও আত্মসংশোধন ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া যায় না। সুতরাং নতুন প্রজন্মকে তার কাছ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে গ্রিন ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাবের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে লেখা গান, কবিতা আবৃত্তি ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত