শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ রিভিউ হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২১, ১৬:৫১

সাহস ডেস্ক

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আরো বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষিত তারিখ রিভিউ হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ যদি বেড়ে যায় তাহলে নিশ্চয় এটা তারা রিভিউ করবেন। আর যদি করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে হয়তো তারা তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আলোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় সব হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সকল স্থানে যাতে মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হয় সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতীয় দিবসকে কেন্দ্র করে আমরা যে অনুষ্ঠানগুলো করবো সেগুলো যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হয়। যেকোনো কাজেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। যাতে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে সংক্রমণ কমিয়ে রাখার জন্য কিন্তু দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যাতে করোনা বৃদ্ধি না পায় সেদিকে আমাদের লক্ষ্যে রাখতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা অনুষ্ঠান করতে গিয়ে যেন হাসপাতালের সেবা ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেবা সঠিকভাবে দিতে হবে। হাসপাতাল-ক্লিনিকের কার্যক্রম সঠিক রাখতে হবে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা-উপজেলা হাসপাতাল, বড় বড় হাসপাতাল যেখানে করোনা রোগী এখন বাড়ছে সেখানে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেই কাজগুলো করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা টিকাও ভালো করে দিতে সক্ষম হয়েছি। যার জন্য দেশে-বিদেশে প্রশংসাও পাচ্ছি। ব্লুমবার্গ, জাতিসংঘের মহাসচিব, ডাব্লিউএইচও, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রশংসা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সচিব-ডিজিদের নিয়ে জুম মিটিং করেছি। সেখানে সারা বাংলাদেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিং করেছি, জানার চেষ্টা করেছি কেন এটা বাড়ছে। আমাদের কাছে খবর এসেছে, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। তারা মনে করে, করোনা এখন বাংলাদেশে নেই বললেই চলে।

মন্ত্রী আরও বলেন, মানুষ কক্সবাজার, সিলেট, চট্টগ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কোনো মাস্ক পরছে না। তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না, পিকনিক চলছে, বিয়ে ধুমছে চলছে। আমি দুইদিন আগে একটি বিয়েতে গেলাম, আত্মীয়ের বিয়ে বলে গেছি। সেখানে দেখলাম, হাজার হাজার লোক। একটা মানুষের মুখে মাস্ক নেই। এ ধরনের পরিস্থিতি সারাদেশে চলছে। আমাদের জাতির মধ্যে অতিমাত্রার ওভার কনফিডেন্স চলে এসেছে যে, আমাদের মধ্যে তো করোনা নেই, চলে গেছে। এটি খুবই উদ্বেগজনক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা যাতে তাড়াতাড়ি আমরা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারি সেজন্য ডিসিদের কাছে আমরা চিঠিও দিয়েছি এবং মন্ত্রিসভা থেকেও দেয়া হয়েছে। যাতে তারা কিছু সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্রয়োগ করে। অর্থাৎ মোবাইল কোর্ট করে, যারা মাস্ক না পরবে তাদের জরিমানা করবে, নো মাস্ক নো সার্ভিসকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের গেস্ট কন্ট্রোল করবে। যেসব জায়গায় টেস্টে মানুষের অনীহা সেগুলো বাড়ানোর চেষ্টা করবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত