করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির তৈরি করেছে বাংলাদেশের এসকেএফ

প্রকাশ : ০৯ মে ২০২০, ০৪:৪৫

সাহস ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ‘জরুরি প্রয়োজনে’ ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া অ্যান্টিভাইরাস ওষুধ রেমডেসিভির উৎপাদনের দাবি করেছে দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।

শুক্রবার (৮ মে) ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক রুহুল আমীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এসকেএফ, বেক্সিমকো ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস রেমডেসিভির উৎপাদন শুরু করেছে।

এসকেএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা দেশবাসীকে জানাতে চাই যে বিশ্বে করোনার একমাত্র কার্যকর ওষুধ বলে স্বীকৃত জেনেরিক রেমডেসিভির উৎপাদনের সব ধাপ আমরা সম্পন্ন করেছি।

তিনি বলেন, ওষুধ প্রশাসন গত মার্চ মাসে এটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদনের পরপরই আমাদের ফর্মুলেশন বিজ্ঞানীরা মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে রেমডেসিভির নিয়ে কাজ শুরু করেন। যেহেতু এটি একটি শিরায় দেয়া ইনজেকশন, সে কারণে এর উৎপাদনে সূক্ষ্ম প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। দুই মাস ধরে এসকেএফ কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এত কম সময়ে এটা উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক রুহুল আমীন জানান, এসকেএফ এরইমধ্যে ওষুধের দুটি ব্যাচ উৎপাদন করেছে। রোববার তারা ওষুধের নমুনা জমা দেবে। নমুনা জমা দেওয়ার পর আমাদের এখানে টেস্ট হবে। ফলাফল সন্তোষজনক হলে তাদের মার্কেটিং অথোরাইজেশন দেওয়া হবে। অথোরাইজেশন সনদ পাওয়ার পর তারা বাজারজাত করতে পারবে।

তিনি বলেন, সবগুলো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত রেমডেসিভির ওষুধের অনুমোদনের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এ মাসের শেষের দিকে ওষুধটির ব্যবহার শুরু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রুহুল আমীন জানান, দেশে উৎপাদিত রেমডেসিভির ওষুধটি প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারকে দেবে। যদি বেসরকারি হাসপাতালে দিতে হয় তাহলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলো তা করতে পারবে।

এসকেএফই বিশ্বে প্রথম ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, যারা জেনেরিক (মূল/গোত্র) রেমডেসিভির উৎপাদন করতে সক্ষম হলো। এসকেএফের উৎপাদন করা রেমডেসিভিরের বাণিজ্যিক নাম ‘রেমিভির’।

রেমডেসিভির উৎপাদনের একচেটিয়া স্বত্ব রয়েছে গিলিয়েডের। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন অনুযায়ী, জাতিসংঘ স্বীকৃত বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো এসব পেটেন্ট বা স্বত্ব অগ্রাহ্য করতে পারে। ফলে এসব দেশ সহনীয় মূল্যে ওষুধ উৎপাদন করতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত