প্রত্যাহার হচ্ছেন কুড়িগ্রামের ডিসি, আসছে বিভাগীয় ব্যবস্থা

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২০, ১৫:৩৮

সাহস ডেস্ক

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। তাকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

রবিবার (১৫ মার্চ) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গভীর রাতে বাসায় গিয়ে সাংবাদিক আটক এবং রাতেই আদালত বসিয়ে জেলে পাঠানোর ঘটনায় জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার এবং বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে ঢাকা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটে আদালতে জামিন পাওয়া নিয়ে মিথ্যা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আরিফুল।

তিনি বলেন, শনিবার রাতে জেলখানার একজন কর্মী এসে আমাকে বলেন, আমার পরিবারের পক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হয়েছে। তিনি আমাকে একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। তবে, আজ (রবিবার) আমি জানতে পারি যে আমার পরিবার সেরকম কোনও আবেদন করেনি।

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৩ মার্চ) কুড়িগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ঢাকা ট্রিবিউন সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে তুলে নিয়ে একবছরের জেল দিয়েছে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট। দুই থেকে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১৫-১৬ জন আনসার সদস্য দরজা ভেঙে আরিফুলের বাড়িতে ঢুকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।

পরিবারের সদস্য জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে বাড়ির গেটে ধাক্কাধাক্কির শব্দ পান তারা। এসময় দরজা না খুললে তা ভেঙ্গে ফেলা হবে বলেও তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। সেসময় কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমানকে ফোন করা হলে ওসি জানান, থানা থেকে কোনও পুলিশ সেখানে যায়নি, কারা গেছে বিষয়টি দেখছেন তিনি। একপর্যায়ে দরজা ভেঙ্গে ৭ থেকে ৮ জন সাদা পোশাকধারী তাদের বাসায় প্রবেশ করে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে আরিফুলকে মারতে মারতে ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। এরপর আরিফুল তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে তারা আবারও তাকে মারধর করে। এরপর তাকে সরাসরি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরিফুল ইসলাম তার স্ত্রীকে জানান, মধ্যরাতে তাকে বাসা থেকে জোর করে তুলে আনার পথে জেলা প্রশাসক কার্যালয় পর্যন্ত লাথি-থাপ্পড়, ঘুষি মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তার দুই চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। এরপর প্যান্ট ও গেঞ্জি খুলে তাকে উলঙ্গ করে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এসব দৃশ্য ভিডিও করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত