করোনাভাইরাস: দেশে খাদ্যের ঘাটতি পড়বে না: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাবে খাদ্যপণ্য আমদানি বন্ধ থাকলেও দেশে খাদ্যের ঘাটতি পড়বে না।’

৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার ইউরিয়া। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আমদানি করে ভোজ্য তেল। যার সিংহভাগ আসে মালয়েশিয়া থেকে। এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা কম।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একসময় কৃষিখাত কম উৎপাদনশীল ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ এবং কৃষিখাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশের এসব অভিজ্ঞতাকে কসোভো কাজে লাগাতে পারে। সেক্ষেত্রে দুদেশের একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে কিছু দেশ থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি হবে না। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আমদানি করে ভোজ্য তেল। যার সিংহভাগ আসে মালয়েশিয়া থেকে, এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা কম।’

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সফল কৃষক ও ভাল উৎপাদনকারীকে সিআইপির মত এআইপি পুরস্কার প্রদানের প্রস্তাব কেবিনেটে অনুমোদিত হয়েছে। এআইপি অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তগণ সিআইপির মত সুযোগ-সুবিধা পাবেন। অ্যাওয়ার্ডের জন্য শিগগিরই সফল কৃষক ও ভাল উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হবে।’

এ সময় কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার ইউরিয়া কৃষির ওপর পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং বাংলাদেশ থেকে শীতকালীন শাকসবজি আমদানির আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি যুদ্ধের সময় কসোভোর ধ্বংসপ্রাপ্ত পোল্ট্রি এবং ডেইরি শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম