আপন জুয়েলার্সের মালিকের জামিন

অর্থ পাচারের অভিযোগে উত্তরা থানায় করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদ জামিন পেয়েছেন। ফলে দিলদার আহমেদের কারামুক্তিতে আইনগত আর কোনো বাধা নেই।

২১ জানুয়ারি (রবিবার) বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দিলদারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ।

আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী জানান, পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে তাকে জামিন দেওয়া হয়। সর্বশেষ এ মামলায় জামিন পাওয়ায় দিলদার আহমেদের কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শেষে এর আগে হাইকোর্ট বিষয়টি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক দিলদার আহমেদ এবং তাঁর দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে।এর মধ্যে দিলদার আহমেদের নামে রয়েছে তিনটি মামলা। তাঁর দুই ভাই আগেই জামিন পান। দিলদার আহমেদ তাঁর সর্বশেষ মামলায় আজ জামিন পেলেন।

প্রসঙ্গত, বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের নাম সামনে আসে। ওই ঘটনায় করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। গত ৪ জুন শুল্ক বিভাগ আপন জুয়েলার্সের ডিএনসিসি মার্কেট, উত্তরা, মৌচাক, সীমান্ত স্কয়ার ও সুবাস্তু ইনম শাখা থেকে প্রায় ১৫ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড জব্দ করার পর তা রাষ্ট্রীয় অনুকূলে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়। পরে দিলদার আহমেদ এবং তার দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পৃথক পাঁচটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

সাহস২৪.কম/জুয়েনা/আল মনসুর