৩০ কোটি টাকার চায়ের কেটলি! কি আছে এতে?

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ২০:৪২

সাহস ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই সকাল শুরু হয় না। আবার বিকেলে আড্ডার আসরে এক কাপ চা না হলে ঠিক যেন জমে না! কেউ কেউ মাটির ভাঁড়ের চায়ে তৃপ্তি পান। আবার, অনেকেই শৌখিন পাত্রে চা পান করেন। সে কারণে বাজারে রকমারি চায়ের পাত্র কম নেই! কিন্তু এমন কোনও চায়ের পাত্রের কথা কখনও শুনেছেন, যার দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০ কোটি টাকা!

জানা গেছে, কেটলির হাতলটি সাদা রঙের, যা তৈরি করা হয়েছে হাতির দাঁত দিয়ে। বাকি চেহারায় জ্বলজ্বল করছে মণিমুক্তো। সোনা, হিরা দিয়ে কেটলিটিকে মুড়ে ফেলা হয়েছে। কেটলিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ক্যারাট সোনা। এ ছাড়াও ১৬৫৮ হিরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে কেটলিটি। ব্যবহার করা হয়েছে তাইল্যান্ড এবং মায়ানমারের ৩৮৬টি মূল্যবান রত্ন। কেটলির ভিতরের অংশটি পিতলের মতো চকচকে। ঢাকনাটিও সোনা, হিরা দিয়ে বাঁধানো।

কেটলিটির নাম ‘দ্য ইগোয়িস্ট’। ইংরেজিতে এই শব্দের অর্থ অহঙ্কারী। অবশ্য কেটলিটি যে রকম দেখতে, তাতে তার অহঙ্কার করাই সাজে। এটি তৈরী করেছে ব্রিটেনের এন শেঠিয়া ফাউন্ডেশন। তাদের তৈরি এই কেটলির দাম ৩ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাড়ায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এতেই বিশ্বের সবচেয়ে দামি কেটলির শিরোপা অর্জন করে ফেলেছে সে।

এদিকে,  ২০১৬ সালে সবচেয়ে দামি চায়ের পাত্র হিসাবে বিশ্বে নজির গড়েছিল এই কেটলি। তবে গত ৯ আগস্ট কেটলির ছবি টুইট করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। তার পর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে এই কেটলির কথা। ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই পোস্টটি দেখেছেন।

পোস্টটি কমেন্ট করেছেন অনেকে, কেউ লিখেছেন, ‘কেটলিটি কিনতে চাই। কিন্তু চায়ের জন্য এটি ব্যবহার করতে পারব না। সাজিয়ে রাখব।’ আবার কেউ মজা করে লিখেছেন, ‘একটা চায়ের পাত্র আমার থেকেও ধনী। আমায় দত্তক নিক এন শেঠিয়া ফাউন্ডেশন।’

সাধারণের সাধ্যের বাইরে এই কেটলি। তাই অনেকেই বলছেন, মাটির ভাঁড়ের চা আর ৩০ কোটির কেটলির চা— ফারাক কোথায়! দুটোই তো চা। তবে চায়ের এমন শৌখিন পাত্রটি ঘিরে চাপ্রেমীদের উৎসাহ যে কম নয়, তা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের টুইটটি দেখলেই বোঝা যায়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত