নন্দ্রীগ্রামে প্রচারে গিয়ে হামলার শিকার মমতা

ভোটের প্রচারণায় নিজের নির্বাচনী আসন নন্দীগ্রামে গিয়ে আহত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। স্থানীয় একটি মন্দিরে পূজা শেষে বের হওয়ার সময় তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর সফর সংক্ষিপ্ত করে দ্রুত তাকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পরে তাকে হাসতাপালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর- এনডিটিভির।

বুধবার (১০ মার্চ) হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নন্দীগ্রামে ফেরেন মমতা। এরপর স্থানীয় কয়েকটি মন্দির পরিদর্শনে যান। সন্ধ্যায় রেয়াপাড়ায় রানিচকের একটি মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার সময় ভিড়ের মধ্য থেকে তাকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারযোগে কলকাতায় এনে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখানেই তার চিকিৎসা হবে। হুইলচেয়ারে করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পিজি হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১২ নম্বর কেবিনে। তার চোটের জায়গাগুলো এক্সরে করা হচ্ছে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রেয়াপাড়ায় একটি মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার সময় অজ্ঞাতপরিচয় চার-পাঁচজনের একটি দল ঘিরে ধরে মমতাকে। এ সময় তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় তারা। এতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রীর মাথা, কপাল ও পায়ে আঘাত লাগে।

ঘটনার পরপরই দেহরক্ষীরা মমতাকে টেনে তুলে গাড়িতে ওঠান। পরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে গাড়িটি। তবে এর আগেই উপস্থিত সাংবাদিকদের আঘাতের চিহ্ন দেখান মমতা। অভিযোগ করেন, হামলার সময় পুলিশের কেউ ঘটনাস্থলে ছিল না।

মমতা বলেন, ‘ভিড়ের মধ্যে চার-পাঁচজন বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছিল। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আমাকে। ইচ্ছাকৃত ধাক্কা মারা হয়। এর পেছনে অবশ্যই ষড়যন্ত্র ছিল।’

কাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত নন্দীগ্রামে থাকার কথা ছিল মমতার। তবে আঘাতের কারণে সফর সংক্ষিপ্ত করে মমতাকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।