‘টেকসই উন্নয়নে প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান নীতি অনুসরণ করতে হবে’

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২২, ১৭:৩২

সাহস ডেস্ক

দেশকে উন্নয়নের পথে যেতে হবে, তবে প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান নীতি অনুসরণ করতে হবে। এটি জরুরিভাবে প্রয়োজন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ রক্ষায় টেকসই উন্নয়ন অর্জনে প্রকৃতিভিত্তিকি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘পরিবেশেরে সঙ্গে সমন্বয় না করলে উন্নয়ন কখনোই টেকসই হবে না। সুতরাং, আমাদের এটি মাথায় রেখে প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের দিকে যেতে হবে।’

রবিবার (৫ মে) গণবভন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২২’ এবং ‘জাতীয় বৃক্ষ রোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা ২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই জীবনযাপন’ এর ওপর জোর দিয়ে এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- ‘শুধু একটাই পৃথিবী’।

উন্নয়নের পথে সবাইকে প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধান গ্রহণ করতে হবে, এটি অবিলম্বে প্রয়োজন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পে একটি শর্ত পূরণ করতে হবে: প্রতিটি গাছ কাটার বিপরীতে কমপক্ষে পাঁচটি গাছ লাগাতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির জন্য উন্নয়ন প্রয়োজন। তবে উন্নয়ন অবশ্যই প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গতভাবে ভারসাম্যপূর্ণ হতে হবে।’ সরকার এলোমেলো শিল্পায়ন রোধ এবং আবাদি জমি সংরক্ষণের জন্য সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব প্রকল্পে ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণের জন্য বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে।’

করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব খাদ্যশস্যের ঘাটতির ঝুঁকির মধ্যে থাকায় এক ইঞ্চি আবাদি জমি অনাবাদি না রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জমি উর্বর এবং আমাদের জনবল আছে। আমাদের নিজেদের ফসল উৎপাদন করতে হবে, আমাদের যা প্রয়োজন তাই উৎপাদন করতে হবে। আমাদের অন্যের ওপর নির্ভরতা ত্যাগ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জনবল ২৬৫ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ১৩৩ করা হয়েছে। ৫০টি জেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় একটি করে কার্যালয় স্থাপন করা হবে।’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় বিষয়ক কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ স্বাগত বক্তব্য দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পরিবেশমন্ত্রী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য বঙ্গবন্ধু পুরস্কার এবং জাতীয় পরিবেশ পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেন। শেরে বাংলা নগরে জাতীয় পরিবেশ মেলা ও জাতীয় বৃক্ষমেলা-২০২২ এরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরিবেশ রক্ষায় সরকারি কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রদর্শন করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত