চাল মজুতদারদের বিরুদ্ধে একশনে যাওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২২, ২১:৩৮

সাহস ডেস্ক

ভরা মৌসুমেও এক মাসের ব্যবধানে মান ভেদে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৫-১৫ টাকা। এ অবস্থায় অবৈধভাবে চাল মজুত করলে মজুতদারদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া মার্কেট সার্ভে (জরিপ) করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তিনি। সোমবার (৩০ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।

বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বৈঠকে মার্কেট মেকানিজম নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও ছিলেন। এই ভরা মৌসুমে চালের কেন দাম বেশি, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার কিছু রিপোর্ট এবং সাজেশন ছিল। এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মার্কেট সার্ভে করে দ্রুত অ্যাকশনে যেতে বলা হয়েছে।’

সচিব বলেন, ‘কোথায়-কোথায় চাল কে স্টক করে, আমাদের কাছে কিছু তথ্য আছে। ধরুন আমি যে কাজটি করব, ইন্ডাস্ট্রি করব বা প্রোডাকশনে যাব আমার তো মেমোরেন্ডাম অ্যাসোসিয়েশন আছে। মেমোরেন্ডাম অ্যাসোসিয়েশনে বলা আছে, আমি কী করতে পারব। আমাদের মনে হচ্ছে যে এমনও হতে পারে, কেউ কেউ মেমোরেন্ডাম অ্যাসোসিয়েশনকে ব্রেক করে চালের ব্যবসায় নেমে গেছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ধরুন আমার হাজার-হাজার কোটি টাকা আছে। আমি মার্কেটে নেমে ধান আর চাল কিনে ফেললাম, স্টক করলাম। তো এগুলো কতদিন আমি রাখতে পারব? এই বিষয়গুলো সুপারভিশন করে দ্রুত নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী, সচিব, খাদ্যমন্ত্রী, সচিব আর কৃষি সচিবকে বসে দ্রুত এ বিষয়টি দেখতে এবং মার্কেট সার্ভে করতে বলা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেন এ ভরা মৌসুমে চালের দাম এত বেশি থাকবে? কিছুদিন আগে তেলের ইস্যুতে যেরকম ড্রাইভ (অভিযান) দেওয়া হলো, তো ওরকম ড্রাইভ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদি কেউ আন-অথোরাইজড চাল ব্যবসা করে বা মজুত করে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়ার জন্য আজ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে রবিবার (২৯ মে) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারও। ওই দিন তিনি বলেছিলেন, ‘ধান কিনে মজুত করার অসুস্থ প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সবাই প্রতিযোগিতা করে ধান কিনছে, ভাবছে ধান কিনলেই লাভ। এ অসুস্থ প্রতিযোগিতা ভালো পরিণতি আনবে না। অধিকাংশ মিল মালিক বাজার থেকে ধান কিনলেও তারা উৎপাদনে যাচ্ছেন না। বাজারে নতুন চাল এখনও আসছে না। এখন বাজারে যে চাল পাওয়া যাচ্ছে তা গত বছরের পুরোনো। তাহলে নতুন ধান যাচ্ছে কোথায়?’ এ অবস্থা চলতে দেওয়া হবে না। কে কত পরিমাণ ধান কিনছেন এবং কে কত পরিমাণ চাল ক্রাশিং করে বাজারে ছাড়ছেন তা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের রিপোর্ট আকারে পাঠানোর কথা বলেন মন্ত্রী।

সাহস২৪.কম/এআর/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত