প্রতিটি থানা-ওয়ার্ড কার্যালয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল

প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৪, ১২:৩৫

Desk Report

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলোতে আলোকসজ্জা ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চার মেয়াদের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মোখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাজধানীর প্রতিটি থানা-ওয়ার্ড কার্যালয়গুলোতে সুসজ্জিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখো মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল 'হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব', 'ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে', 'শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম'।

জানা গেছে, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চার দশকের বেশি সময় উপলক্ষে দলীয় প্রধান এবং দলের জনপ্রিয়তার জানান দিতে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা, সেমিনার, পোস্টার, লিফলেট, বিল বোর্ড, সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশের মাধ্যমে শেখ হাসিনার অবদান ও অর্জনগুলো তুলে ধরা হবে।

সারা দেশেই দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, দলের অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সব সংগঠন ধারাবাহিক মতবিনিময় সভার মাধ্যমেও ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত