শিশুকে বিক্রি করলেন মা, সাজালেন ছিনতাইয়ের নাটক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২২, ১৪:১০
![](https://mail.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2022/05/20/image-76452.jpg)
সীতাকুণ্ডে নিজের শিশু সন্তানকে বিক্রি করে ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছিলেন মা জেনি আক্তার। এ ঘটনার তিন দিনের মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) নগরীর সিটি গেইট এলাকার একটি বাসা থেকে ১৪ দিন বয়সী শিশুটিকে উদ্ধার করে আকবর শাহ থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেনি আক্তার তার ১৪ দিনের বাচ্চাটি নগরীর আকবরশাহ থানার সিটি গেইট এলাকায় এক ব্যক্তির কাছে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। তার আগের বাচ্চার বয়স ১৬ মাস। এরি মধ্যে জন্ম নিল দ্বিতীয় বাচ্চা। অভাবের সংসার তার উপর তার বয়স ২০ বছর। এসব কারণে প্রতিবেশীরা নানা কথা শোনাতে থাকে। তা নিয়ে মানসিকভাবে চিন্তিত ছিল জেনি।
সাজানো ঘটনায় জেনি জানিয়েছিলেন, রবিবার (১৬ মে) ১৪ দিন বয়সের শিশু ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে গাড়ির জন্যে রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এসময় একটি সিএনজি অটোরিকশা এসে দাঁড়ায় তার সামনে। সেখানে এক নারী ছিল। সীতাকুণ্ডের জোড়আমতল থেকে ভাটিয়ারী যাওয়ার পথে ঔই নারী জেনি আক্তারের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন, আপনার বাচ্চাটাতো সুন্দর, একথা শুনার পর আর কিছু মনে নেই জেনি আক্তারের।
এ অভিযোগ পাওয়ার পর শিশুর সন্ধানে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। নামে শিশু ও অপহরণকারীচক্রের খোঁজে। ব্যাপক অনুসন্ধান করে চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানা এলাকার একটি বাড়িতে শিশুটির খোঁজ পাওয়া যায়। ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পারেন, এটি অপহরণ নয় বরং শিশুটির মা জেরিন আক্তার নিজেই শিশুটিকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে দত্তক দিয়েছেন তার পরিচিত চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানাধীন দম্পতি মফিজুর রহমান ও সেলিনা বেগমের কাছে। সত্যতা নিশ্চিত হতে পুলিশ শিশুটির মায়ের সামনে কথিত অপহরণকারীদের মুখোমুখি করলে একপর্যায়ে মা জেরিন স্বীকার করেন যে তিনিই শিশুটিকে তাদের কাছে দত্তক দেন এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও স্বামীর কাছ থেকে রক্ষা পেতে অপহরণ নাটক সাজান।
উদ্ধার হওয়া শিশুর বাবা মো. ইয়াসিন বলেন, তার বাড়ি খুলনার বাগেরহাটে। পেশায় সে অটোরিক্সা চালক। বাচ্চা জন্মের সময় হওয়াতে স্ত্রীকে কিছুদিন আগে সীতাকুণ্ডে বাবার বাড়িতে পাঠান। কিন্তু কি কারণে তার স্ত্রী এই ঘটনা ঘটিয়েছে তিনি তা জানেন না।
সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) নোমান বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.