দুদকের আরেক মামলায় পি কে হালদার
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২২, ১৯:৫৮
![](https://mail.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2022/05/19/image-76449.jpg)
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিরুদ্ধে এবার আরেকটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ ১২ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত।
মামলার এজহারে জানা যায়, এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ৪৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা। আসামিরা হলেন- এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এমএ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার ও এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিব প্রসাদ ব্যানার্জী ও পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জি।
ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) শনিবার (১৪ মে) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে। পরে তাকে আদালতে হাজির করলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। কলকাতার একটি আদালত মঙ্গলবার (১৭ মে) আরও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন তার বিরুদ্ধে। দিয়া শিপিং লিমিটেড ঋণের জন্য এফএএস ফাইন্যান্সে আবেদন করে ২০১৬ সালের দিকে। ঋণ আবেদনের সময় জামানত হিসেবে মর্টগেজ দেখানো হয় রাজধানীর এক এলাকার জমির জাল দলিল। এফএএস ফাইন্যান্স লিমিটেড আবেদনের কয়েক দিনের মাথায় দেয় ঋণ প্রদানের চূড়ান্ত অনুমোদন। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার। একপর্যায়ে নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস শুরু করেন তিনি। পিকে হালদার গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত আত্মগোপনে ছিলেন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে।
সাহস২৪/এসটি/এসকে.