লক্ষ্মীপুরে গ্রেপ্তারের পর আসামির মৃত্যু

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২২, ২১:৫৪

পুলিশ ও চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।

লক্ষ্মীপুরে পুলিশ হেফাজতে আব্দুল কুদ্দুছ (৪৫) নামে পরোয়ানা ভুক্ত এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে মারা যান গ্রেপ্তারকৃত ওই আসামি। এর আগে রাত পৌনে ৮টার দিকে সদর থানা পুলিশ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে নিজ ফার্মেসি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত কুদ্দুছ সদর উপজেলার রাধাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে ও কসমিক ফার্মাসিটিক্যালস-এর এরিয়া ম্যানেজার এবং মিনহাজ মেডিকেল (ফার্মেসী)-এর মালিক। তার বিরুদ্ধে ঢাকার ওয়ারী থানায় চেক ডিজওনার (এন আই এক্ট) মামলায় পরোয়ানা রয়েছে।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিআর ১৪/২০ মামলার (চেক ডিজওনার) পরোয়ানাভুক্ত আসামি আব্দুল কুদ্দুছকে রাতে গ্রেপ্তারের পর থানা হেফাজতে তার বুকে ব্যাথা ওঠে। রাত ১০টার দিকে সদর হাসপাতালে নিলে রাত পৌনে ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল মিমতানুর রহমান ও সদর থানার ওসি জসীম উদ্দিনসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন।

নিহতের স্ত্রী নিগার সুলতানা জানান, কুদ্দুস হার্টে রিং বসানো ছিলো। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল কাশেম আজাদ জানান, রোগী বুকে ব্যাথা অনুভবসহ বমি করছিলো সঙ্গে প্রচণ্ড ঘামাচ্ছিল, ধারনা করা হচ্ছে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, ওয়ারী থানায় একটি চেক সংক্রান্ত মামলায় কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করা হয়। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক আমরা হাসপাতাল ভর্তি করি। লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান জানান, ওয়ারেন্টমূলে আসামিকে গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর তিনি মারা যান। ঘটনার তদন্ত চলছে, পুলিশি নির্যাতনে মারা গেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত