কালিয়ায় খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২২, ২০:১১

সাহস ডেস্ক

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর ও বারইপাড়া ঘাটে যাত্রী হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবশ্য ঘাট মাঝিরা অভিযোগ স্বীকার করে দায়ি করছেন ঘাট মালিকদের। ঘাট মালিকের চাহিদা পূরণ করতে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কথা জানালেন মাঝিরা।

পুরাতন বছরের ইজারা শেষ হওয়া এবং নতুন বছরে ইজারা শুরু হলেও করোনাকালীন বাড়তি ভাড়ার রেশ এখনো টানতে হচ্ছে যাত্রীদের। ওই ঘাটে যাত্রী হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেনে উপজেলার বেন্দারচর গ্রামের জাকারিয়া হুসাইন। গত সোমবার (১১ এপ্রিল) তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর এ অভিযোগ দেন।

এদিকে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে পূর্বের ইজারা শেষ হয়ে নতুন ইজারা শুরু হয়েছে। ইজারার ১ম দিনেই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রী প্রতি ১০ টাকা, ১ জন আরোহীসহ মোটরসাইকেল ৩০ টাকা ও ২ জনসহ ৪০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। আগে করোনার দোহাই দিয়ে ভাড়া বেশি নেওয়া হতো। কিন্তু এখন কেন বেশি নেওয়া হচ্ছে?

এবিষয়ে কাঞ্চনপুর ঘাট মাঝিদের সরদার বুলু শেখ জানান, শুনেছি দেয়াডাঙ্গার এনামুল নামে একজন ঘাট ডেকে নিয়েছেন। কিন্তু সমস্ত বিষয়ে তদারকি করছেন জেলা পরিষদ সদস্য পুরুলিয়া গ্রামের রানী বেগম। আমরা রানী বেগমের বাড়ীতে গেলে তিনি প্রতিদিন ৯ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানান।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, কালিয়ার বারইপাড়া ও কাঞ্চনপুর খেয়া ঘাট ১২ লক্ষ টাকায় সরকারিভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। বারইপাড়া ঘাট মনির শেখের নামে ও কাঞ্চনপুর এনামুলের নামে থাকলেও জেলা পরিষদ সদস্য রানী বেগমই এখানে মূখ্য বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদ সদস্য রানী বেগমকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘাট মলিক নই। তবে জেলা পরিষদের সদস্য হওয়ায় তদারকি করি। ভাড়ার রেট কত হবে এ বিষয়ে অফিস থেকে জেনে চার্ট করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ঘাটের কোন টোল রেট পাইনি। জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে আমরা ব্যবস্থা নিব।

এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন এনডিসি বলেন, প্রতি বছর ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা থাকলেও বিগত ১০ বছর এটা রিবাইট হয়নি। কিন্তু বাস্তবে অনেক বেড়ে গেছে। শুধু কালিয়ায় নয় পুরা বিভাগেই যেহেতু দীর্ঘদিন যাবত ভাড়া নির্ধারণ হয় নাই তাই পুনঃনির্ধারণের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। নতুন ভাড়া নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত পুরাতন ভাড়াই বহাল থাকবে বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত