২ মাস ইলিশ ধরায় নিষেদ্ধাজ্ঞা
এ সময় নদীতে যেতে চাই না, ক্ষুধা আমাদের বাধ্য করে
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:৫০
![](https://mail.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2022/02/28/image-75292.jpg)
যে ২ মাস ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ সে সময় আমরা নদীতে যেতে চাই না কিন্তু ক্ষুধা আমাদের বাধ্য করে বলে জানিয়েছেন জেলেরা। নিষিদ্ধ এই ২ মাস তাদের কঠিন সময় পার করতে হয়। তাই তারা সরকারের কাছে ১৫০ কেজি করে চাল দাবি করেছেন।
জাটকা সংরক্ষণে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে দেশের ৬ জেলায় ইলিশ সহ সবধরনে মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এই নিষেদ্ধাজ্ঞা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
তবে নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেই নদী থেকে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা। তারা বলেছেন, এই সময়টা জাল, নৌকা ও অন্যান্য মাছ ধরার সরঞ্জাম মেরামত করবেন।
জেলেরা জানান, এই ২ মাসে আমরা নদীতে যেতে চাই না। কিন্তু ক্ষুধা আমাদের বাধ্য করে। এই সময়ে যেহেতু মাছ ধরতে পারবো না, সেহেতু আমাদের কঠিন সময় পার করতে হবে। এই সময়ের জন্য আমরা সরকারের কাছে ১৫০ কেজি করে চাল পাওয়ার দাবি জানাই।
অথচ এ বছর এই ৬ জেলার জেলেদের জন্য প্রতি ভিজিএফ কার্ডে ৪০ কেজি করে চাল সরবরাহ করা হবে বলে বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়।
কিন্তু জেলেরা জানান, ২ মাসের জন্য এই চাল যথেষ্ট নয়।
বরিশাল জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ইসরাইল পণ্ডিত বলেন, নিষেধাজ্ঞার ২ মাসের জন্য মাত্র ৪০ কেজি চাল অপ্রতুল। মাথাপিছু অন্তত ১৫০ কেজি চাল দিতে হবে।