করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খুলনা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬ চীনা নাগরিক

প্রকাশ : ২১ মে ২০২১, ১৫:০০

সাহস ডেস্ক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন খুলনা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩৩০ মেগাওয়াট কেন্দ্রে কর্মরত ৮৫ চীনা নাগরিক। ইতোমধ্যে পরীক্ষা নিরীক্ষায় ১৯ জন নেগেটিভ হয়েছেন। কিন্তু অবশিষ্ট ৬৬ জন এখনও পজিটিভই রয়েছেন। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরও চীনারা প্রকাশ্যে চলাচল করছেন, বাজার ঘাটে যাচ্ছেন, সাধারণ মানুষের মাঝে ঘোরাফেরা করছেন- এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্কে থাকা এলাকাবাসী অবিলম্বে এলাকাটিকে লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

খালিশপুরে খুলনা বিদ্যুৎকেন্দ্র অভ্যন্তরে ৩৩০ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টে গত এক মাসে মোট ৮৫ জন চীনা নাগরিকের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু ১৮ মে ৪২ জনের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। ওই দিন ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। ফলে এই প্রজেক্টে কর্মরত সকলের ভাইরাসটির সংক্রমণের ঝুঁকি প্রবল হয়ে উঠছে। 

অভিযোগ রয়েছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চীনারা হোম কোয়ারেন্টিন মানছেন না। তারা বাইরে ঘোরাফেরা ও কেনাকাটা করছেন। অনেকেই নিয়মিত কাজে অংশ নিচ্ছেন। এতে এই প্রজেক্টে কর্মরত সকলের মাঝে যেমন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে, তেমনি শ্রমিকদের মাধ্যমে খালিশপুরসহ আশপাশ এলাকায় সংক্রমণ বাড়তে পারে। বিষয়টি নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে কর্মরত কয়েকজন বাঙালি শ্রমিকদের মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। তাদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন এখানে তাদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।

পাওয়ার প্লান্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. জাহিদ হোসেন বলেন, গত এক মাসে (১৮ এপ্রিল থেকে ১৮ মে)  প্রজেক্টে কর্মরত ৮৫ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৯ জনের ইতোমধ্যে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এখনও ৬৬ জন আক্রান্ত রোগী আছে। আক্রান্তরা নিজস্ব হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তারা বিদেশি নাগরিক, তাই এমনিতে তারা মানুষের সাথে তেমন মেলামেশা করেন না। 

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, খালিশপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত করোনা আক্রান্ত চাইনিজ নাগরিকরা নিজস্ব হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। এত সংখ্যক চাইনিজ কেন করোনা আক্রান্ত হলো- বিষয়টি দেখার জন্য আইইডিসিআর’র খুলনা বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর তদন্তের জন্য সেখানে গিয়েছেন।

তিনি বলেন, চীনারা এ বিষয়ে খুবই সচেতন। ওরা এক এক রুমে একজন করে কোয়ারেন্টিনে আছে। বাইরে বের হয় না। তবে কিছু চীনা এখনও আক্রান্ত হয়নি। ওরা হয়তো বের হতে পারে। আর ওদের চেহারা যেহেতু একরকম। তাই স্থানীয় লোকজন বুঝতে পারছে না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত