শরণার্থী প্রবেশ বন্ধে তুরস্ক সীমান্তে শব্দকামান বসিয়েছে গ্রিস
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৪২
![](https://mail.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2020/10/17/image-65769.jpg)
নিজ দেশে শরণার্থী প্রবেশ বন্ধ করতে তুরস্কের সঙ্গে সীমান্তে দুটি লঙ্গ রেঞ্জ অ্যাকাউস্টিক ডিভাইসেস- এলআরএডি বসিয়েছে গ্রিস। এসব যন্ত্রকে শব্দকামান ও শব্দবোমা বলে অভিহিত করছেন শরণার্থী অধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মীরা।
শরণার্থী অধিকার কর্মীরা বলছেন, ‘এর তীব্র শব্দবোমা মানুষকে বধির করে দিতে পারে।’
বিভিন্ন মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এলআরএডি’র শব্দতরঙ্গ জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই যন্ত্রের শব্দ তরঙ্গের কারণে বধির হয়ে যাওয়া এবং তীব্র মাথা ও কান ব্যথা হতে পারে।
এছাড়া আরও নানা স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দিতে পারে। এলআরএডি ছাড়াও চারটি ড্রোন, ১৫টি থার্মাল ক্যামেরা, ৫টি জোডিয়াক বোট ও ১০টি সশস্ত্র মোবাইল গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে তুর্কি-গ্রিস সীমান্তে।
এর পাশাপাশি শরণার্থী প্রবেশে কড়াকাড়ি আরোপের অংশ হিসেবে গ্রিস সীমান্তে বাড়তি পর্যবেক্ষণ সিস্টেম ও তুরস্কের সঙ্গে পুরো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছে। ২৭ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকাজুড়ে সামরিক বাহিনী ৮টি উড়ন্ত পর্যবেক্ষণ মেশিনও ব্যবহার করবে।
আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, মানুষকে ছত্রভঙ্গ করতে ও দাঙ্গা বন্ধে এলআরএডি’র ব্যবহার নিষিদ্ধ। এগুলো কেবল বিমানবন্দরের দিকে আসা বন্যপ্রাণী তাড়াতে ব্যবহৃত হতে পারে।
এছাড়া গ্যাস ও তেল ক্ষেত্রে এবং শিল্প ও জ্বানালি কেন্দ্রে এগুলো ব্যবহার করার অনুমতি আছে।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ