ভারতে বিশেষজ্ঞদের ছাড় পেলো অক্সফোর্ডের টিকা

প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:০৬

সাহস ডেস্ক

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের সুপারিশ করেছে ভারতের সরকারি বিশেষজ্ঞ প্যানেল। দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (ডিসিজিআই) কাছে এটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (১ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবং দুইটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স এখবর জানায়।

রয়টার্স বলেছে, জরুরি ব্যবহারের জন্য গতকাল শুক্রবার (১ জানুয়ারি) ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসনটির অনুমোদন দিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভারত শিগগিরই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করতে চায়। হয়তো আগামী বুধবারের মধ্যেই তা শুরু হবে।

গত বুধবার সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) প্যানেলের সামনে ভ্যাকসিন “কোভিশিল্ড” উপস্থাপন করে। সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিনের ভারতীয় সংস্করণ ‘কোভিশিল্ড’ চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া পর এটির তিন কোটি ডোজ সংগ্রহের জন্য গত ৫ নভেম্বর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে সরকার। ভ্যাকসিনটি ভারতে অনুমোদন পাওয়ায় বাংলাদেশও ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির দিকে আরও অগ্রসর হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডিসিজিআই ভ্যাকসিনটি ব্যবহারে অনুমোদন দিলে ভারত সরকার এইমাস থেকে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করবে। শনিবার দেশটির সকল রাজ্যে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক ব্যবহার পরিচালিত হওয়ার কথা। 

ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এপ্রসঙ্গে জানান, এর প্রস্তুতি সাধারণ নির্বাচনের মত। এখানে বুথ থাকবে। তার প্রস্তুতি চলবে, উদ্দেশ্য হচ্ছে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত হওয়া। যাদের টিকা দেওয়া হবে এসএমএসের মাধ্যমে তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। ফ্রন্টলাইন কর্মীরা অগ্রাধিকার পাবে। কাউকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর একটি ডিজিটাল সনদও দেওয়া হবে।

সিএনএন’র তথ্য অনুযায়ী, মডার্না ও ফাইজারের ভ্যাকসিনের তুলনায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটি সংরক্ষণ ও পরিবহন সহজ। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটি কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা যাবে। অন্যদিকে, মডার্নার ভ্যাকসিন মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩০ দিনের জন্য সংরক্ষণ করা যাবে। ফাইজারের ভ্যাকসিনটি মাইনাস ৭৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে এবং একবার উচ্চ তাপমাত্রায় আনা হলে পাঁচ দিনের মধ্যে সেটি ব্যবহার করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত