কোভিড-১৯: জাপানের কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২০, ১২:৩১
![](https://mail.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2020/10/18/image-65789.jpg)
কোভিড-১৯’র ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য জাপানের কাছ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) গত সপ্তাহে এ বিষয়ে ঢাকায় জাপানের দূতাবাসকে একটি চিঠি দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী জাপান দূতাবাসে চিঠিটি পাঠানো হয়।
ভ্যাকসিন সংগ্রহের সম্ভাব্য ব্যয়ের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তহবিল চাইতে ইআরডিকে অবহিত করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ইআরডির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, সম্ভাব্য উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন অংশীদার দেশকে বাংলাদেশের তহবিলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবহিত করেছেন এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকেও তহবিল নেবে বলে জানিয়েছে।
চিঠিতে ইআরডি লিখেছে, দেশের সব নাগরিককে টিকার আওতায় আনতে সম্ভাব্য ব্যয় হবে এক দশমিক ৬৫ বিলিয়ন থেকে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জন প্রতি দুই ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য ১০ থেকে ১২ ডলার খরচ ধরে ১৬৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার জন্য ধরা হয়েছে এই খরচ।
জাপানের দূতাবাসকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, উপরে বর্ণিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিতে জাপান সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছে। ইতোমধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার জরুরি চিকিৎসা সরবরাহের জন্য তিন মিলিয়ন ডলার অনুদানের একটি চুক্তি সই করেছে।
এ ছাড়া, ইআরডি ভ্যাকসিন কেনার জন্য এডিবির কাছ থেকে আরও ৩৫০ মিলিয়ন ডলার চাইবে।
একইভাবে, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তাও চাইবে ইআরডি।
উন্নয়ন অংশীদারদের কাছে পাঠানো ইআরডির চিঠি অনুযায়ী, কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মানবজীবন ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং শিগগির এর থেকে অবসান পাওয়ার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। তাই, মানুষের জীবন ও অর্থনীতিকে রক্ষা করতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ করা জরুরি।
অল্প সময়ের মধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া যাবে বলে এই আর্থিক সহায়তা চাওয়া হচ্ছে।
এই বছরের শেষের দিকেই ভ্যাকসিনের বড় আকারের বাণিজ্যিক উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে, সকল নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আমদানি করতে একটি বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।