দর্শনার্থীদের জন্য সংযোজন করা হবে প্রয়োজনীয় সুবিধাদি

বঙ্গবাজারে ১০তলা মার্কেটসহ চার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ১৩:৪৭

Desk Report

আজ শনিবার (২৫ মে) সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবাজারে ‘বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণী বিতান’, পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইসগেট গেট পর্যন্ত আট সারির ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মণি সরণি (ইনার সার্কুলার রিং রোড)’, ধানমন্ডি লেকে ‘নজরুল সরোবর’ এবং শাহবাগে ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান আধুনিকীকরণ’ উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন সরকারপ্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, ১০তলা বিশিষ্ট বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণি বিতানে পাঁচটি সাধারণ সিঁড়ি ও ছয়টি অগ্নিপ্রস্থান সিঁড়িসহ পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বিপণি বিতানের প্রতিটি ব্লকের জন্য আলাদা বাহির ও প্রবেশদ্বার থাকবে। ভবনে বৈদ্যুতিক যান্ত্রিক কক্ষ এবং প্রতিটি ব্লকের প্রতি তলায় চারটি করে শৌচাগার থাকবে। এ ছাড়া ভবনের ভূমিতলে ১৬৯টি গাড়ি ও ১০৯টি মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের সুবিধা থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পুরান ঢাকার সঙ্গে আমাদের আলাদা নাড়ির টান আছে। এই অঞ্চলের মানুষ ভালো থাকুক সেটাই চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতি, লুটপাট ও মানুষ খুন করে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি। এরপর দেশ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অস্ত্র চোরাচালানির দেশে পরিণত হয়। সাজাপ্রাপ্ত তারেক জিয়া এখন বিদেশ থেকে দেশে অশান্তির হুকুম দেয়।’

সরকার প্রধান বলেন,‘দেশ যত উন্নত হচ্ছে মানুষের কাজকর্ম ততো বাড়ছে। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। এরইমধ্যে রাজধানীবাসীর যাতায়াতের জন্য ঢাকাতে একটি মেট্রোরেলপথ তৈরি করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মেট্রোরেলপথ নির্মাণ করা হবে। কিছু উপর দিয়ে যাবে, আবার কিছু পাতাল দিয়ে যাবে। সেইভাবেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একসময় ঢাকায় বিদ্যুৎ-পানি ছিল না। বিএনপির এক নেতা ধাওয়াও খায়। পানি পরিস্থিতির অনেক উন্নতি করেছি।’

আজ শনিবার বঙ্গবাজারে চার প্রকল্পের আধুনিকায়ন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

৯৭৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের আওতায় ১০ কিলোমিটার নর্দমা (ড্রেন), ১০ কিলোমিটার পথচারী হাঁটার পথ (ফুটপাত), তিনটি উড়াল সেতু (ভেহিকেল ওভারপাস), তিনটি পথচারী পারাপার সেতু (ওভারব্রিজ), দুই কিলোমিটার সংরক্ষণকারী দেয়াল (রিটেইনিং ওয়াল), তিনটি মসজিদ, ছয়টি যানবাহন বিরতির স্থান (বাস-বে) ও ছয়টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হবে। এতে ঢাকা শহরের ভেতরে বাস, ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমার পাশাপাশি বহুলাংশে যানজট নিরসন হবে। এছাড়াও আগত দর্শনার্থীদের জন্য শৌচাগার, চত্বর, রেস্তোরাঁ, বিশ্রামস্থল, প্রশস্ত হাঁটার পথ, বসার আসন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সুবিধাদি সংযোজন করা হয়েছে।

এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত